আপনি যদি ড্রপ শিপিং বিজনেস করতে আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে এই বিজনেস এর সুবিধা অসুবিধা গুলো জেনে নেয়াটা খুবই জরুরি।
আমাদের রিসার্চ টিমের আপ্রাণ চেষ্টায় আমরা ড্রপ শিপিং বিজনেস এর কিছু সুবিধা এবং অসুবিধা খুঁজে বের করেছি। আমরা আজকেড্রপ শিপিং বিজনেসের সুবিধা এবং অসুবিধা গুলো নিয়ে আলোচনা করবো। তাই পরও আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে দেখুন।

প্রথমেই চলুন জেনে নেই ড্রপ শিপিং বিজনেসের অসুবিধা গুলো নিয়ে।

প্রতিযোগিতা :

ড্রপ শিপিং বিজনেস একটি খুবই প্রতিযোগিতা মূলক ব্যবসা। কারণ অনলাইন স্টোরের মালিকগণ মানসম্মত সেবা প্রদান করে ব্যবসা দাঁড় করাতে পারে এবং তাদের থেকে পণ্য কিনতে ক্রেতারা বেশি পছন্দ করে থাকে ৷
অতিরিক্ত প্রতিযোগিতা একজন ড্রপ শিপারের জন্য একটি বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাছাড়া ক্রেতারা নতুন কোনো ব্যবসা থেকে পণ্য ক্রয় করতে ও দ্বিধায় থাকে। অন্য দিকে নতুন কোনো ব্যবসায়ী আপনার পণ্যের কোড ও কপি করতে পারে।

আপনি যদি ড্রপ শিপিং বিজনেস করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই ড্রপ শিপিং বিজনেসের সুবিধা এবং অসুবিধা গুলো জানা থাকা উচিত। যা আমাদের এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হলো।

কম মুনাফা :

অধিকাংশ ব্যবসায়ীরাই ড্রপ শিপিং বিজনেস দীর্ঘদিন করতে করতে পারে না। কারণ এই ব্যবসায়ে মুনাফা খুবই সীমিত হয়ে থাকে। তাই আপনি যদি এই ব্যবসা করতে চান তাহলে অবশই আপনাকে দীর্ঘদিন এই ব্যবসায়ে সময় দিতে হবে।

পণ্যের সম্পূর্ণ দায়বদ্ধতা:

ড্রপ শিপিং বিজনেস এ আপনি এমন সব পণ্য বিক্রি করবেন যা আপনি হয়তো কখনো দেখেননি। তাই ক্রেতাকে সেই পণ্যটির সম্পর্কে একটি বিস্তারিত ধারণা দেয়াটা ও আপনার জন্য কঠিন হয়ে পড়বে।

শিপিং জটিলতা:

আপনি যদি একাধিক সরবরাহকারী সাথে কাজ করেন এবং আপনার অনলাইন স্টোরের পণ্যগুলো বিভিন্ন ই-কমার্স এর মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয় তবে এটি আপনার শিপিংয়ের খরচ কে জটিল করে তুলবে।

আপনি যদি ড্রপ শিপিং বিজনেস করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই ড্রপ শিপিং বিজনেসের সুবিধা এবং অসুবিধা গুলো জানা থাকা উচিত। যা আমাদের এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হলো।

কি ভাবছেন ড্রপ শিপিং বিজনেসে শুধু অসুবিধাই আছে ? না, ড্রপ শিপিং বিজনেসে অসুবিধা পাশাপাশি অনেক সুবিধাও আছে। চলুন ড্রপ শিপিং বিজনেসের সুবিধা গুলো জেনে নেই।

শুরু করা অত্যন্ত সহজ:

ড্রপ শিপিংয়ে আপনাকে পণ্য কিনে স্টক করে রাখার জন্য কোনো টাকা খরচ করতে হয় না। তাই, শুধু হোস্টিং, ডোমেইন এবং ওয়েব ডেভেলপ করতে যে খরচ করতে হয় তা করলেই হয় ৷ অতিরিক্ত আর কোনো ব্যয় নেই ৷ ফলে আপনার ব্যবসায় মুনাফা কমার ঝুঁকি কম ৷

স্বল্প মূলধন প্রয়োজন:

ড্রপ শিপিংয়ের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো কয়েক লক্ষ টাকা বিনিয়োগ না করেই একটি ই-কমার্স সাইট চালু করা যায়। স্বাভাবিক ভাবেই খুচরা বিক্রেতাদের বিপুল পরিমাণ মূলধন পণ্য কিনে স্টক করে রাখতে খরচ করতে হয়। ড্রপ শিপিংয়ে আপনার কোন পণ্য বিক্রি না হওয়া পর্যন্ত, নতুন কোনো পন্য কিনতে হয় না ৷ তা এতে মূলধনের প্রয়োজন খুবই কম।

এই কোর্সটি করতে এখানে ক্লিক করুন

এই কোর্সটি করতে এখানে ক্লিক করুন

ন্যূনতম ঝুঁকি:

একটি ড্রপ শিপিং ই-কমার্স ওয়েবসাইট বিনামূল্যে শুরু করা যেতে পারে। কেবলমাত্র একটি ডোমেন এবং ভালো হোস্টিং নিতে হবে ৷ নতুবা ব্যবসা হারিয়ে যেতে পারে, পরে ব্যবসায়টি আর সম্প্রসারণ করা সম্ভব নয় ৷ আবার আপনি যদি লাভ করতে সক্ষম না হন, তবে আপনি সহজেই কোনো ঝুঁকি ছাড়াই ফিরে আসতে পারবেন।

নমনীয় অবস্থান:

একটি ড্রপ শিপিং ব্যবসায় যেকোনো জায়গায় করা যায় ৷ শুধু ইন্টারনেট সংযোগ প্রয়োজন ৷ আপনি চাইলে সরবরাহকারী ও ক্রেতা উভয়ের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারবেন এবং ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবেন ৷

আপনি যদি ড্রপ শিপিং বিজনেস করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই ড্রপ শিপিং বিজনেসের সুবিধা এবং অসুবিধা গুলো জানা থাকা উচিত। যা আমাদের এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হলো।

একাধিক পণ্য বিক্রি করা :

যেহেতু পূর্বে আপনাকে কোনো পণ্য অগ্রিম কিনতে হয় না, তাই আপনি যেকোনো পণ্যের অফার দিতে পারবেন ড্রপ শিপিংয়ে ৷ আপনার স্টকে যদিও কোনো পণ্য থাকে সেটাও কিন্তু বিক্রি করতে পারবেন ৷ যার জন্য আপনাকে আলাদা করে কোনো খরচ করতে হবে না ৷

আজকের পর্বে আমরা ড্রপ শিপিং বিজনেস এর সুবিধা এবং অসুবিধা গুলো সম্পর্কে জেনে নিলাম।

ধন্যবাদ

Sharing Is Caring

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to Top