ই-কমার্স এসইও (SEO) করার ১০ টি উপায় :
নতুন দশক শুরুর দ্বারপ্রান্তে আমরা , আর তাই এখন থেকেই আমাদের ই -কমার্স ওয়েবসাইট এসইও (SEO) করার কথা চিন্তা করতে হবে। এই আর্টিকেল এ আমরা আমরা আলোচনা করবো E-Commerce SEO checklist নিয়ে।
আমরা সাধারণত কোন কিছু দরকার হলে প্রথম গুগল, ইয়াহু অথবা বিং এ সার্চ করি এবং সবার আগে সার্চিং এ যে ওয়েবসাইট কিংবা প্রোডাক্ট গুলো আসে সেগুলোই দেখি। তাই সবার প্রথমে আপনারা ওয়েবসাইট বা প্রোডাক্ট আসার জন্য এসইও (SEO) এর বিকল্প নেই। কারণ আপনি যদি গুগল এর প্রথম পেজ এ রেঙ্ক করতে না পারেন তাহলে কোন লাভ নেই।
আকর্ষণীয় এই কোর্সটি করতে এখানে ক্লিক করুন
যদিও এসইও (SEO) ব্যাপারটি খুব জটিল বিশেষ করে ই-কমার্স সাইট এর জন্য। যারা ই-কমার্স এর জন্য এসইও (SEO) টেকনিক খুজছেন তারা নিচের লিস্ট ফলো করতে পারেন :
AliExpress.com Product – IP67 Children’s Smart Watch Boys Girls Gift Smartwatch With Sim Card Camera Children’s Smart Watch SOS Phone Watchই-কমার্স টেকনিক্যাল এসইও (SEO) চেকলিস্ট :
১. প্রথমে আপনার ওয়েবসাইট যে গুগল ক্রল এবং ইনডেক্স করবে সেটা নিচিত হতে হবেঃ
মনে রাখতে হবে আপনার ওয়েবসাইট যদি গুগল ক্রল না করে বা ইনডেক্স না করে তাহলে আপনার কন্টেন্ট রাঙ্ক করবে না। স্পেশালি আপনার প্রোডাক্ট সার্চ রেসাল্ট এ পাওয়া যাবেনা।
টেকনিক্যাল এসইও (SEO) এর জন্য কিছু জিনিস খেয়াল রাখতে হবে , আপনার সাইট এর ইনডেক্স এবিলিটি , ক্রল এবিলিটি , সাইট স্পিড , কন্টেন্ট কোয়ালিটি , কাস্টমার ফ্রেন্ডলি কিনা এই বিষয় গুলো।
যদি আপনার সাইট এর এই বিষয় গুলো ঠিক থাকে তাহলে বাকিটা বিষয়টা নির্ভর করবে এসইও (SEO) স্ট্রেটেজির উপর।
২. 4XX eror পেজ গুলো ঠিক করতে হবেঃ
এর জন্য আপনি গুগল সার্চ কনসোল টুল ব্যবহার করতে পারেন। এটি গুগল এর একটি খুব ভালো টুল। প্রথম সাইটটি ভেরিফাই করে নিতে হবে তারপর দেখতে হবে কোন কোন পেজে এই সমস্যা আছে। সাধারণত এই পেজ গুলো গুগল ক্রল করতে পারেনা। এই সমস্যা গুলো অনেক কারণেই হয়ে থাকে যেমন সাইট ম্যাপ এক্সপায়ার হয়ে গেলে বা প্রোডাক্ট স্টক না থাকলে বা সার্ভার এর কারণে হতে পারে।
৩. যে পেজ গুলু এক্সক্লুড করবেন সেগুলো ভালো ভাবে চেক করতে হবেঃ
রোবট TXT ফাইল এর কারণে যে পেজ গুলো গুগল ইনডেক্স করতে পারছেনা সেগুলো চেক করতে হবে। যে পেজ গুলো গুগল ক্রল করুক সেটি আপনি চান না যেমন : কাস্টমার প্রোফাইল , কার্ট , ইত্যাদি সব ব্লক করা আছে কিনা দেখে নিতে হইবে।
৪. স্কিমা মার্কআপ ওয়েবসাইটে যুক্ত করতে হবেঃ
স্কিমা মার্কআপ হচ্ছে কতগুলো HTML ট্যাগ , যা দিয়ে গুগলকে সহায়তা করে প্রোডাক্ট রেটিং , প্রোডাক্ট ডিটেইলস , স্টক এ আছে কিনা সেগুলো দেখাতে। এর মাধ্যমে আপনার পণ্যকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে। আপনি চাইলে গুগল সার্চ কনসোলে প্রোডাক্ট রিপোর্টে স্কিমা মার্কআপ এর বর্তমান অবস্থা দেখে নিতে পারেন। যখন আপনার কি-ওয়ার্ড চেকলিস্ট যখন হয়ে যাবে তখন এর রাঙ্কিং চেক করে নিতে পারেন।
আকর্ষণীয় এই কোর্সটি করতে এখানে ক্লিক করুন
৫. নির্দিষ্ট কিওয়ার্ড সিলেক্ট করুন যেগুলো ভালো বিক্রি হয়ঃ
সবচেয়ে বড় ভুল যেটা সবাই করে তা হচ্ছে ভুল কিওয়ার্ড সিলেক্ট করা। অনেকে বেশি সার্চ ভলিউম কিওয়ার্ড সিলেক্ট করে , কিন্তু কনভার্সন ভালো আসে কম সার্চ ভলিউম কিওয়ার্ড এ। সেক্ষত্রে আপনার লং টেইল কিওয়ার্ড সিলেক্ট করা বুদ্ধিমানের কাজ যা আপনাকে ডাইরেক্ট প্রোডাক্ট পেজে নিয়ে যাবে।
৬. আপনার কিওয়ার্ড সার্চ ট্রেন্ড দেখতে হবেঃ
এখানে একটা বিষয় বলা ভালো সার্চ ট্রেন্ড এর সাথে দেখতে হবে এই কিওয়ার্ড এর প্রোডাক্টের বিক্রি কেমনঃ গুগল RANK BRAIN এটার জন্য আপনাকে সাহায্য করবে। আপনাকে ইনকগনিটো উইন্ডো তে গিয়ে আগে সার্চ করে দেখতে হবে সার্চ রেজাল্ট কিভাবে আসে। যদি এটি ডিরেক্ট প্রোডাক্ট পেজে যায় তাহলে বুঝতে হবে আপনি সঠিক পথে আছেন।
৭. নিজের কিওয়ার্ডের সাথে নিজে কম্পিটিশন করবেন নাঃ
একবার যখন আপনি ট্রান্সাকশনাল কিওয়ার্ড ও সেলস ড্রিভেন কিওয়ার্ড গুলো আলাদা করে ফেলতে পারবেন তখন একটা ব্যাপার ভালো ভাবে খেয়াল করতে হবে যে আপনি নিজের সাথে নিজে কম্পিটিশন করছেন কিনা। একটা কিওয়ার্ড এর জন্য যদি আপনার সাইট এর ২টি পেজ রেঙ্কিং এ আসে তখন গুগল দ্বিধাদ্বন্দে পরে যাবে কাকে আগে দেখাবে। আপনি নিশ্চয়ই চাইবেন আপনার হোম পেজ না দেখিয়ে প্রোডাক্ট পেজ আগে দেখাক কারণ আপনার মূল উদ্দেশ্য বিক্রি।
সার্চ কনসোল এ আপনি আপনার রেঙ্ক , ক্লিক , ইম্প্রেশন সব দেখে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।
৮. ডুপ্লিকেট কন্টেন্ট পরিহার করুনঃ
গুগল সব সময় ইউনিক কন্টেন্ট এবং হাই কোয়ালিটি কন্টেন্ট পছন্দ করে।
যদি আপনার ৬০% কন্টেন্ট কারও সাথে মাইল যায় তাহলে এটি ডুপ্লিকেট ধরা হয়। আবার আপনার এক পেজ এর কন্টেন্টের সাথে যদি অন্য পেজের কন্টেন্ট মিলে যায় তাহলে অবশ্যই তা ডুপ্লিকেট ধরা হবে।
৯. ইনকম্লিট ইনফমেশন পেজঃ
গুগল কোন কিছু ইনকম্লিট পছন্দ করেনা কারণ তা কাস্টমাররা পছন্দ করেনা। মনে করেন আপনি একটি পেজ এর কিন্তু তার বিস্তারিত কিছু দিলেন না তাহলে গুগল সেটি ইনডেক্স করবেনা। তাই সব গুলো কন্টেন্ট চেক করবেন যেন তার সব কিছু ঠিক থাকে।
১০. মোবাইল ফ্রেন্ডলি করবেনঃ
এখন মানুষ তার সব কিছুই মোবাইলে সার্চ করে , তাই আপনার ওয়েবসাইট যেন মোবাইল ফ্রেন্ডলি হয় সেটি প্রথম থেকে খেয়াল রাখতে হবে। সব গুলো পেজ চেক করে দেখবেন মোবাইল স্ক্রিন থেকে।
বোনাস টিপস – ইমেজ বা ছবি গুলো সঠিক ভাবে অপ্টিমাইজ করতে হবেঃ
কারণ ইমেজ থেকে অনেক ভালো ক্লিক হয়। বিস্তারিত : ওয়েবসাইটে আপলোড করা ছবি যে ১১টি উপায়ে এসইও অপটিমাইজ করবেন
পরিশেষে :
তাহলে পরিশেষে এই আর্টিকেল থেকে আমরা যা শিখলাম
>> টেকনিক্যাল এসইও (SEO) বিষয়টিকে হালকা করে দেখা যাবেনা , ক্রল এবিলিটি , স্কিমা মার্কআপ বিষয়টি ভালোভাবে মেইনটেইন করতে হবে যদি সফল হতে চান।
>> কিওয়ার্ড সিলেক্ট করতে ভুল করা যাবেনা, ট্রান্সাকশনাল কোয়ারী এবং ইনফম্যাশনাল কোয়ারী দুটি ভালোভাবে বুঝতে হবে। কারণ আপনার মূল উদ্দেশ্য বিক্রি।
>> ডুপ্লিকেট কন্টেন্ট একেবারেই রাখা যাবেনা কারণ এর কারণে আপনার রেঙ্কিং ড্রপ করতে পারে।
>> মোবাইল ফ্রেন্ডলি ওয়েবসাইট বানাতে হবে।
উপরুক্ত জিনিস গুলো ভালোভাবে মেনে চললে ইনশাল্লাহ আপনার ওয়েবসাইট রাঙ্ক করবে।
লেখক পরিচিতিঃ
Digital Marketing Expert | SEO Expert | Digital Marketing Trainer |
PPC Expert | Social Media Specialist | Consultant