যদি আপনাকে প্রশ্ন করা হয় Apple এর CEO কে ? তাহলে প্রথমেই আপনার মনে স্টিভ জবস এর নাম আসবে। কারণ আমরা অনেকেই জানি যে স্টিভ জবস হচ্ছেন Apple এর CEO. কিন্তু ২০১১ সালের August মাসে স্টিভ জবস Apple এর CEO এর পদ থেকে সরে আসেন এবং TIM COOK কে Apple এর নতুন CEO ঘোষণা করেন। সেই থেকে এখন পর্যন্ত Tim Cook খুবই নিষ্ঠার সাথে Apple এর CEO এর পদের দায়িত্ব পালন করছেন।
হ্যা, বন্ধুরা আমরা আজকে বিশ্বের একটি নাম করা প্রতিষ্ঠান Apple এর CEO Tim Cook এবং তার জীবনী নিজে আপনাদের অনেক জানাবো।
টিম কুক যুক্তরাষ্ট্রের এয়লাবামায় তার শৈশব কাটিয়েছেন। তার বাবা ছিলেন একজন শিপইয়ার্ডের কর্মী এবং মা ছিলেন গৃহিণী। কুক রবার্টসডেল হাই স্কুল থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন এবং ১৯৮২ সালে আবার্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিল্পও প্রকৌশলে বিএসসি ডিগ্রী লাভ করেন। তিনি ১৯৮৮ সালে ডিউক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন।
Tim Cook ১৯৯৮ সালে সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়ার্ল্ড ওয়াইড অপারেশন পদে সর্ব প্রথম Apple এর সাথে যুক্ত হন। তাহলে আপনার মনে, প্রশ্ন আসতেই পারে যে একজন সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট থেকে Tim Cook কি ভাবে Apple এর CEO হয়ে গেলেন ? খুবই সহজ কোথায় এর উত্তর হলো, ” তিনি সততা এবং নিষ্ঠার সাথে কাজ করেছেন, পরিশ্রম করেছেন যা তাকে Apple এর CEO হওয়ার জন্য তৈরী করে তুলেছিলো।
কিন্তু এর বাইরেও কিছু ব্যাপার থেকে যায় যায় যা আমাদের অজানাই থেকে যাবে। তা হলো Tim Cook টাইম ম্যানেজমেন্ট। তাহলে এবার বলি, তিনি তার দিনের ২৪ ঘন্টাকে কিভাবে ভাগ করে নিয়েছেন ?
Tim Cook সোশ্যাল মিডিয়াতে apple রিলেটেড কোনো বিজনেস মিটিং ছাড়া খুব একটা আপডেট থাকেন না। তাই তাই ডেইলি রুটিন ম্যানেজ করাটা কিছুটা কঠিন ছিল। তবে আমরা বিভিন্ন সোর্স থেকে পাওয়া তথ্য গুলো আপনাদের সামনে তুলে এনেছি ।
Apple এর একজন CEO এর দিন শুরু হয় ভোররাত ৩ টা ৪৫ মিনিটে। তারপর তিনি ফ্রেশ হয়ে ইমেইল চেক করতে বসেন। Tim Cook প্রতিদিনই ৭০০ এর ও বেশি ইমেইল চেক করে থাকেন। তারপর ভোর ৫ টায় তিনি জিম এ যেয়ে থাকেন রেগুলার এক্সারসাইজের জন্য। তিনি প্রতিদিন ৩০-৪৫ মিনিট এক্সারসাইজ করে থাকেন। তারপর এক্সারসাইজের পর তিনি পুনরায় ফ্রেশ হয়ে নিকটস্থ স্টারবাক্সে কফি খেতে যান। তারপর ৮-৯ তার মধ্যে তিনি apple পার্কে গাড়ি চালাতে যান।
দিনের অধিকাংশ সময় Tim Cook apple পার্কে তা অফিসে কাটান।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় টেক কোম্পানির CEO হিসাবে Tim Cook এর বেশ কিছু দায়িত্ব রয়েছে।
যখন কোম্পানির বড় কোনো প্রজেক্ট হাতে নেয় তখন তিনি ২৪ ঘন্টাই অফিস এ সময় কাটান। কারণ Tim Cook কাজের ব্যাপারে খুবই সিনসিয়ার। Tim Cook তার এমপ্লয়ীদের কাছে মধ্যো রাতে মিটিং কল করার জন্য বিখ্যাত।
তবে Tim Cook যখন ফ্রি সময় পান তখনি তিনি বাইকিং বা হাইকিং করতে বেরিয়ে পড়েন।
Cook অফিস এর বাইরে একজন প্রাইভেসী মেনটেইন করা মানুষ। আপনি যদি গুগল ম্যাপ এ Tim Cook এর বাড়ি খুঁজে বের করতে যান দেখবেন সেটি ব্লার করা আছে।
Tim Cook তার রুটিন খুবই স্ট্রিক্ট ভাবে পালন করেন। তিনি ৮ টা ৪৫ মিনিটে ঘুমোতে চলে যান।
তাহলে আমরা আজকের পর্ব থেকে কি বুঝলাম ? জীবনে বড় কিছু হতে হলে সব কিছুই একটি রুটিনের মধ্যে নিয়ে আশা প্রয়োজন এবং নিজের কাজকে ভালোবেশে পুরুপুরি সময় দেয়াটা ও প্রয়োজন।
আমাদের আর্টিকেল রিলেটেড ভিডিও গুলো দেখতে এখনই আমাদের YouTube চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন এবং ফেইসবুক পেজটি লাইক করুন।