মেটাভার্স হলো এমন একটি প্রযুক্তি যার মাধ্যমে আপনি অসম্ভবকে সম্ভবে রূপান্তর করতে পারবেন। মেটাভার্সকে আপনি ইন্টারনেট দুনিয়ার অন্য একটি ধাপ ও বলতে পারেন। তাই মেটাভার্স হলো বর্তমান প্রযুক্তি বিশ্বের একটি অভাবনীয় উদ্ভাবন। প্রিয় দর্শক আপনারা তাহলে বুঝতেই পারছেন আমাদের আজকের আলোচনার মূল বিষয় কি। হ্যা, আমাদের আজকের আলোচনার মূল বিষয় হলো মেটাভার্স। এই ডিজিটাল যুগের একজন মানুষ হিসাবে অবশ্যই আপনাকে মেটাভার্স সম্পর্কে জানাটা খুবই জরুরি। তাই আজকের পর্বে আমরা আলোচনা করবো, মেটাভার্স কি? মেটাভার্স কিভাবে কাজ করে ? এই বিষয়ে ..
১৯৯২ সালে মিলস স্টেফেন নামের একজন বৈজ্ঞানিক লেখক তার “শোনো ক্যাশ” নামক একটি উপন্যাসে সর্ব প্রথম মেটাভার্স শব্দটি শুনা যায়। ১৯৯২ সালের পর থেকে অনেক বছর পার হয়ে গেলেও কেউ মেটাভার্স নিয়ে এতটা ভাবে নি। তবে দিনের পরিবর্তনের সাথে সাথে ইন্টারনেটের অনেক উন্নতি লক্ষ্য করা যায়। তাই বিভিন্ন টেক কোম্পানি গুলো মেটাভার্স নিয়ে পুনরায় ভাবতে থাকে। কারণ এটি এমন একটি প্রযুক্তি যার ফলে দূর দূরান্তের একজন মানুষের ৩D দেখা যাবে।
বর্তমান করোনা পরিস্তিতির কারণে অনেক মিটিং, অফিস মিটিং, সমাবেশ এখন ভার্চুয়ালি করা হচ্ছে। এর আগে কেউই ভার্চুয়াল মিটিং বিষয়টি নিয়ে ভাবতে পারে নি। আমরা এখন ভার্চুয়াল মিটিং করার জন্য মোবাইল বা লেপটপের দিকে তাকিয়ে থাকি। কিন্তু মেটাভার্স এমন একটু প্রযুক্তি যার ফলে আপনি অফলাইন মিটিং করার মতো ফীল পাবেন।
মেটাভার্স এমন একটি পদ্ধতি যার ফলে আপনি একটি apps এর মাধ্যমে নিমিষেই চার পাশের পরিবেশ পরিবর্তন করতে পারবেন। সে সাথে আপনি বিভিন্ন ধরণের avatar ও ব্যবহার করতে পারবেন। যে ফিসার্সটি সত্যিই সব কিছু থেকে আলাদা। তাই মেটাভার্সকে বর্তমান টেকনোলজি থেকে ও অনেক বেশি এগিয়ে রাখা হয়েছে।
মার্ক জাকারবার্গ এর মতে, মেটাভার্স হলো ইন্টারনেটের পরবর্তী অধ্যায়। যার ফলে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে অনলাইন শপিং সব কিছুর মধ্যেই একটি পরিবর্তন আসবে। আপনি একটি চশমা এবং একটি হেডফোন ব্যবহার করেই নিমিষেই অন্য জগতে পৌঁছে যেতে পারবেন।
মেটাভার্স এর মাধ্যমে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাওয়া যাবে। অন্য টীম মেটদের সাথে মাইল কাজ করা যাবে। এছাড়াও বাস্তব জীবনের মতো সব কিছুই থাকে মেটাভার্স এ। মার্ক জাকারবার্গ এর মতে আগামী পাঁচ থেকে দশ বছর এরমধ্যে এই প্রযুক্তির বেপক বিস্তার ঘটবে।
মেটাভার্সের মাধ্যমে যাতে মানুষ এর যোগাযোগ আরো সহজ হয় তাই ফেইসবুক বা মেটা নতুন একটি সোশ্যাল মিডিয়া তৈরী করেছে। যার নাম হচ্ছে Horizon. হরিজোন এ একজন ইউসার এর একটি ভার্চুয়াল বাড়ি থাকবে। Horizon এর ব্যবহারকারী তার বন্ধুদের তার বাড়িতে আমন্ত্রণ করতে পারবেন। এবং বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করতে পারবেন তবে সে মিটিং টি দেখতে পুরুপুরি বাস্তব মনে হবে। কারণ Horizon এর ব্যবহারকারীর তার Avatar এর মাধ্যমে স্বশরীরে উপস্থিত থেকে মিটিং করতে পারবেন।
মেটাভার্সের জগতে আমাদের পদার্পন করতে হলে আমাদের আরো অনেক উন্নত প্রযুক্তির প্রয়োজন হবে। সেজন্য ফেসবুক তৈরি করছে প্রজেক্ট ক্যামরিয়া নামের উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন VR হেডসেট। তাহলে বুঝতেই পারছেন প্রযুক্তি কোথায় পৌঁছে যাচ্ছে।