আপনি ইতোমধ্যেই নিজের প্রথম ফেসবুক বুস্ট করে ফেলেছেন, এমনকি খুব স্বাচ্ছন্দ্যের সাথেই বেশ কয়েকটি এড সেট সহকারে একটি ক্যাম্পেইন কীভাবে পরিচালনা করতে হয় সে সম্পর্কে মোটামুটি একটা আইডিয়া চলে এসেছে।

কিন্তু আপনি একটু খেয়াল করলেই দেখবেন যে আপনার বিজ্ঞাপন প্রথমবারের মত দ্বিতীয়বার এত ভালো রেজাল্ট আসছে না। আবার কখনো দেখা যায় বিজ্ঞাপন দিলে ভালো ফলাফল আসে কিন্তু পরেরবার দিলে আর আসে না। এমনি নানা রকম সমস্যার কারনে আপনি বেশ চিন্তিত যে আসলে কীভাবে ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিলে ভালো রেজাল্ট আসবে।

এই কোর্সটি করতে এখানে ক্লিক করুন

হ্যাঁ! আপনাকে সেই চিন্তামুক্ত করার জন্যই আমাদের এই সিরিজের সর্বশেস পর্বটি সাজানো হয়েছে। এই পর্বটি শেষ করলে আপনি ফেসবুক বিজ্ঞাপনের রিপোর্ট এনালাইসিস খুব ভালো করে বুঝতে পারবেন এবং সেই রিপোর্ট বুঝে পরবর্তী বিজ্ঞাপনটি কীভাবে আরো বেশি অপটিমাইজ করে ভালো ফলাফল পাবেন সেটাও বুঝতে পারবেন। এছাড়াও আদতে রিপোর্ট দেখেই আপনি বুঝতে পারবেন আপনার কোন আইডীয়া কাজ করছে আর কোন আইডিয়া কাজ করছে না।

এছাড়াও সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করলেও যে আপনি একদম সফল হয়ে যাবেন তাও নয়, এরজন্য আপনাকে জানতে হবে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করার পরেও সফল না হওয়ার কারণগুলো। কারনগুলো আপনার যদি জানা থাকে তাহলে পরবর্তীতে আপনি এই অনুযায়ী নিজের ফ্যান পেজ এবং ব্যবসা নিয়ে কাজ করতে পারবেন। এছাড়াও আপনার ফ্যান পেজটি খুব সুন্দর এবং আকর্ষণীয় উপায়ে তৈরি করতে হবে। এই বিষয়ে যদি আপনার না জানা থাকে, তাহলে পড়ুন, “যেভাবে আকর্ষণীয় ভাবে আপনার ফ্যান পেজটি তৈরি করবেন।”

ফেসবুক ম্যানেজারে বিস্তারিত এড রিপোর্টিং

আপনার প্রত্যেকটি বিজ্ঞাপন এবং ক্যাম্পেইন খুব ভালো ভাবে পর্যবেক্ষণ করার জন্য ফেসবুক এড ম্যানেজার সম্পর্কে আপনার বিস্তারিত জানা প্রয়োজন। আপনি সবগুলো ক্যাম্পেইনের তারিখ এবং অবজেকটিভ অনুযায়ী ফিল্টারের মাধ্যমে আলাদা করে দেখতে পারবেন।

রিপোর্ট দেখার সময় অবশ্যই তারিখের দিকে খেয়াল রাখবেন, তাহলেই সঠিক তারিখের সঠিক রিপোর্ট আপনি পেয়ে যাবেন। এছাড়া তারিখের ব্যাপার একটু মনযোগী হলেই আপনি দুটো আলাদা তারিখের আলাদা ক্যাম্পেইন এর রিপোর্ট আপনি কম্পেয়ার করে দেখতে পারবেন।

আপনি যখন কোন ক্যাম্পেইনের রিপোর্ট টেবিল দেখবেন তখন বেশ কয়েকটি আলাদা ডাটার ঘর দেখতে পাবেন, যেমনঃ

** প্রতি ক্লিকে কত খরচ হয়েছে

** প্রতিটি কনভার্শনে কত খরচ হয়েছে

** ইম্প্রেশন কতটি হয়েছে অর্থাৎ কতজন আপনার বিজ্ঞাপন দেখেছেন

** আপনার লিংক এ কতজন ক্লিক করেছেন

আপনার ফেসবুক ক্যাম্পেইনের বিস্তারিত যাবতীয় ডিটেইল আবার চাইলে আপনি এক নজরে একসাথে দেখতেও পারবেন যাতে করে বিভিন্ন ক্যাম্পেইনের আলাদা ডাটা দিয়ে আপনি অভার অল একটু তুলনা করতে পারেন।

আপনি ক্যাম্পেইনে ক্লিক করার মাধ্যমে কোন একটি ক্যাম্পেইন সিলেক্ট করতে পারবেন। পরবর্তীতে আপনি সেই ক্যাম্পেইনের আন্ডারে যতগুলো এড সেট রয়েছে সেগুলো দেখতে পারবেন এবং আলাদা করে সেগুলোর রিপোর্টও পেতে পারবেন।

এই পেজে আপনার যাবতীয় দরকারি তথ্য এবং উপাত্তগুলো একসাথেই দেখতে পারবেন।

এড রিপোর্টের কলামগুলো কীভাবে মেইনটেন করবেন

যদিও রিপোর্টের পেজে আপনি প্রয়োজনীয় তথ্যাদি পেয়ে যাবেন। তবুও সেই তথ্যগুলোর বাইরেও বেশ কিছু তথ্য আপনি পেতে পারেন। তবে আপনি হোম পেজে কি কি তথ্য দেখতে চান সেটাও চাইলে সিলেক্ট করে দিতে পারেন।

আপনি যদি তথ্য দেখার কলাম এডিট করতে চান, তাহলে কাস্টোম লেখা অংশে ক্লিক করে দিন…

ফেসবুক এড ম্যানেজারের মধ্যে বেশ কিছু তথ্য এবং উয়াত্তের আলাদা কলাম রয়েছে সবগুলো এখানে আপনি দেখতে পারবেন। এই তথ্যগুলোর মাধ্যমেই আদতে আপনি জানতে পারবেন যে আপনার দেয়া বিজ্ঞাপনটি ঠিক কেমন ভালো পারফর্ম করছে। যদিও একটি বিষয় মনে রাখবেন, আপনার অবজেকটিভ বা ক্যাম্পেইনের আলাদা উদ্যেশ্য থাকে তাহলে কিন্তু বিজ্ঞাপনগুলোও আলাদা রকমের রিপোর্ট দেখাবে এবং আলাদা হওয়াটাই একদম স্বাভাবিক।

কোর্সটি করতে এখানে ক্লিক করুন

আরেকটু বলে রাখি যে, এই রিপোর্টিং যদি আপনি ভালো ভাবে বুঝে উঠতে পারেন তাহলে আপনি একজন সফল সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার হতে পারবেন। কেননা প্লাটফর্ম ভিন্ন হলেও রিপোর্ট এবং ডাটা সব মোটামুটি একই ধরণের হয়ে থাকে। এছাড়া জেনে নিতে পারেন, একজন সফল সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার হতে হলে যে অভ্যাসগুলো থাকা প্রয়োজন।

পারফর্ম্যান্সঃ আপনি যদি পারফরম্যান্স দেখতে চান থাওলে যে কলামগুলো আপনার জন্য প্রয়োজনীয় সেগুলো হল– Results, Result Rate, Reach, Frequency, Impressions, Delivery, Social Reach, Social Impressions, People Taking Action, Positive & Negative Feedback, Amount Spent, etc.

এনগেজমেন্ট দেখতে চাইলে—পোষ্ট এর কমেন্ট, শেয়ার। আবার পেজের এনগেজমেন্ট এর জন্য- পেজ লাইক, পেজ মেনশন, পেজ ইভেন্ট রিসপন্স, চেক ইন ইত্যাদি।

ক্লিকসঃ প্রত্যেকটি আলাদা লিংক ক্লিক, সোশ্যাল ক্লিক ইত্যাদি এই কলামের আন্ডারে পাবেন।

মেসেজিংঃ নতুন কতটি মেসেজ আসল বিজ্ঞাপন থেকে, কতটি মেসেজের রিপ্লাই আসল এবং প্রত্যেকটি মেসেজের জন্য আপনার বিজ্ঞাপনের কত খরচ হল ইত্যাদি দেখতে পাবেন।

মিডিয়াঃ ভিডিওটি কতক্ষন দেখা হল, এভারেজে কত সময় ভিডিও দেখা হয়েছে, ভিউ সংখ্যা কত, তিন সেকেন্ড ধরে কতজন দেখেছেন, দশ সেকেন্ড ধরে কতজন দেখেছেন, ত্রিশ সেকেন্ড ধরে কতজন দেখছেন এগুলো আপনি এই কলাম থেকেই পেয়ে যাবেন। ভিডিও মার্কেটিং করার সময় এই তথ্যগুলো আপনার অনেক কাজে আসবে।

ওয়েবসাইটে ভিজিটর কতজন গেলঃ আপনি যদি ফেসবুক পিক্সেল দিয়ে আপনার ওয়েবসাইট সুন্দর করে অপটিমাইজ করে রাখেন তাহলে দেখতে পাবেন যে ওয়েবসাইটেও কতটি লিড এসেছে, ওয়েবসাইটে কতজন আপনার পন্য ক্রয় করেছে, কতজন রেজিস্ট্রেশন করেছে ইত্যাদি তথ্য আপনি এখানে পেয়ে যাবেন।

এপসঃ আপনার ডেকস্টপ এপ অথবা মোবাইল এপ কতজন ইন্সটল করল, এপস থেকে কেউ কিছু ক্রয় করল কি না ইত্যাদি আপনি এই অংশ থেকেই পেয়ে যাবেন।

অন-ফেসবুকঃ ফেসবুকের মাধ্যমেও আপনি যদি লিড কালেক্ট করেন, যেমন ইমেইল, ফোন নাম্বার ইত্যাদি তথ্যাবলি এখান থেকে পেয়ে যাবেন।

অফলাইন– ফেসবুক ছাড়াও কেউ যদি আপনার কাছ থেকে তথ্য নিয়ে স্টোর ভিজিট করে তাহলে সেই রিপোর্ট আপনি এখানে পেয়ে যাবেন।

ক্যাম্পেইনের রিপোর্ট আলাদা করে যেভাবে বুঝতে পারবেন

আপনার ক্যাম্পেইনের রিপোর্টগুলোর পাশাপাশি এড ম্যানেজারের মধ্যেও চাইলে বিস্তারিত রিপোর্ট আপনি পেয়ে যাবেন। আসুন দেখে নেই বিস্তারিত এই রিপোর্টগুলো আপনি কীভাবে দেখবেন এবং এই রিপোর্টগুলো বুঝবেনই বা কীভাবে। চাইলে এই রিপোর্টগুলো আলাদা ভাবে বেশ কয়েকটি মেনু অনুযায়ী ব্রেকডাউন করে দেখতে পারবেন, যেমনঃ

** ডেলিভারিতে দেখতে পাবেনঃ বয়স, লিঙ্গ, লোকেশন, প্লাটফর্ম, ডিভাইস, সময় অনুসারে রিপোর্টিং।

** একশনে দেখতে পাবেনঃ কনভার্সন ডিভাইস, ডেসটিনেশন, ভিডিও ভিউ, ভিডিও সাউন্ড, ক্যারোসেল কার্ড ইত্যাদি অনুযায়ী।

** সময় মেনুতে দেখতে পাবেনঃ দৈনিক, সাপ্তাহিক, দিসাপ্তাহিক, মাসিক।

আপনি চাইলে প্রত্যেকটি সেকশন থেকে একটি একটি করে সিলেক্ট করে নিতে পারেন নিম্ন অনুসারেঃ

এই ভাবে আলাদা করে দেখার মাধ্যমে আপনি যে প্রশ্নগুলোর উত্তর খুব সহজেই বের করতে পারবেনঃ

কোন এড প্লেসমেন্টটা আপনার সবচাইতে ভালো কাজ করছে। (এটা জানতে পারলে আপনি সেই প্লেসমেন্টের দিকেই বেশি মনোযোগ দিতে পারবেন এবং একই সাথে অন্যান্য প্লাটফর্মে কীভাবে আরো উন্নতি করা যায় সেটা নিয়ে ভাবতে পারবেন)

দিনের কোন সময়ে অথবা সপ্তাহের কোন দিনটিতে অথবা মাসের কোন সপ্তাহে আপনার বিজ্ঞাপনে ভালো সাড়া পাওয়া যায় সেটা বের করতে পারবেন। (তাহলে শুধুমাত্র ঐ দিনগুলোতে বিজ্ঞাপন দিলেই আপনার বিজ্ঞাপনের খরচ অনেক কমে আসবে এবং একই সাথে অন্যান্য দিনগুলোতে বিজ্ঞাপন থেকে সাড়া অনেক কম আসে কেন, সেটা নিয়েও ভাবতে পারবেন।)

এভাবে আলাদা করে রিপোর্টগুলো দেখার কারন তো আশাকরি বুঝতেই পারছেন এখন। এভাবে দেখতে হলে প্রথমে ক্যাম্পেইনটি সিলেক্ট করে নিন এবং রিপোর্টগুলো আলাদা ভাবে দেখুন। ক্যাম্পেইনের সিলেক্ট করার পর ডান পাশের উপরে “ব্রেকডাউন” নামে একটি ড্রপ-মেনু পাবেন, সেখানে ক্লিক করলে রিপোর্টগুলো আলাদা ভাবে দেখার অপশন পেয়ে যাবেন। নিচের ছবিটি অনুসরণ করুনঃ

এই কোর্সটি করতে এখানে ক্লিক করুন

এভাবে রিপোর্টগুলো আপনি কিন্তু হুট করেই দেখে বুঝতে পারবেন না। একটু সময় নিন, সময় দিন আর এভাবেই ধীরে ধীরে পুরো বিষয়টি আপনার কাছে একদম পরিষ্কার হয়ে উঠবে। এভাবে আপনার বিজ্ঞাপনের উদ্যেশ্য অনুযায়ী আপনার প্রয়োজনীয় রিপোর্টগুলো আলাদা করে দেখে নিন। আর এই রিপোর্ট থেকে বিশ্লেষণের মাধ্যমে আপনার পরবর্তী বিজ্ঞাপন ক্যাম্পেইনটি সাজিয়ে নিন।

রিপোর্ট কীভাবে সেভ করবেন এবং অটোমেটিক রিপোর্ট কীভাবে তৈরি করবেন

আপনি কি জানেন যে চাইলেই আপনি দৈনিক বিজ্ঞাপনের রিপোর্ট আপনার ইনবক্সে নিয়ে আসতে পারবেন? এমনকি সাপ্তাহিক কিংবা মাসিক রিপোর্টও তৈরি হয়ে অটোমেটিক আপনার ইনবক্সে চলে আসবে। আর এই পুরো রিপোর্টগুলো আপনি একদম ফ্রিতেই পেতে পারবেন, এগুলোর জন্য আপনাকে আলাদা করে কোন পেমেন্ট করতে হবে না। আসুন তাহলে দেখে নেই কীভাবে আপনি এই অটো রিপোর্টগুলো জেনারেট করবেন। এরজন্য প্রথমেই রিপোর্ট ট্যাবের মধ্যে ব্রেকডাউন অপশটিতে চলে যান।

এখানে আপনি export নামের একটি অপশন দেখতে পাবেন। এখানে কাস্টোম রিপোর্টের মধ্যে শ্যেয়ার লিংক তৈরি করার অপশন পাবেন। এই অটোমেটেড রিপোর্টের মধ্যে আপনি অনেক ধরণের তথ্যই নিয়ে আসতে পারবেন। আপনি যে রিপোর্টগুলো নিয়ে আসতে চান সেগুলো দিয়ে নিন।

এখানে আপনি চাইলে দৈনিক অথবা সাপ্তাহিক এমনকি মাসিক ভাবেও এই রিপোর্ট সেভ করতে পারবেন।

ফেসবুক বিজ্ঞাপনের যাবতীয় অপশনগুলো আরো বিস্তারিত দেখতে থাকুন

আমরা মোটামুটি আমাদের সিরিজের প্রায় শেষ পর্যায়ে চলে এসেছি। আমরা চেষ্টা করেছি অনেক বেশি তথ্য দিয়ে আপনাকে বিভ্রান্ত না করে বেশ সহজ ভাবে পুরো বিষয়টি আপনাকে ব্যখ্যা করতে। তবে এখানে একটি বিষয় বলে নেয়া ভালো, আপনি যখন ফেসবুক পিক্সেল নিয়ে কাজ করবেন, সেটা সেট-আপ এবং নিয়ন্ত্রণের জন্য আপনাকে আলাদা ভাবে বিস্তারিত পড়াশোনা এবং প্র্যাকটিস করতে হবে। কেননা পিক্সেল দিয়ে আপনি আসলেই চমৎকার ডেটা ড্রিভেন মার্কেটিং করতে পারলেও পুরো বিষয়টি এখনো অতটা সহজ হয়ে আসেনি। যেহেতু পিক্সেল শুধুমাত্র ফেসবুক নয় বরং যে কোন ওয়েবসাইটের বিভিন্ন ডাটা আপনি এখান থেকে জানতে পারবেন। এটার একটা বিকল্প হতে পারে গুগুল এনালাইটিক্স, এছাড়াও গুগুলের বেশ কিছু টুল রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে আপনি ওয়েবসাইট রিলেটেড অনেক রিপোর্ট নিয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

ফিরে আসি আমাদের সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর ফেসবুক বিজ্ঞাপনের পুরো সিরিজটি নিয়ে। বলছিলাম আমরা কতটা সহজেই আপনাকে পুরো বিষয়টি সম্পর্কে ধারনা দিয়েছি। আমাদের এই পুরো সিরিজটি পড়ার মাধ্যমে আপনি যে বিষয়গুলো জানতে পারবেন সেগুলো নিম্নরূপঃ

১ম পর্বঃ যে পাঁচটি কারনে আপনি ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিবেন

২য় পর্বঃ খুব সহজেই ফেসবুক বিজ্ঞাপন একাউন্ট সেট-আপ করে নিন

৩য় পর্বঃ প্রথমবারের মত ফেসবুক বিজ্ঞাপন সেট করুন (ফেসবুক এড ম্যানেজার গাইড)

৪র্থ পর্বঃ ফেসবুকে আপনি যে কয় ধরণের বিজ্ঞাপন দিতে পারবেন

৫ম পর্বঃ যে ধরণের ছবি ও লেখা দিলে ফেসবুক বিজ্ঞাপন বেশি কার্যকর হবে

৬ষ্ঠ পর্বঃ অডিয়েন্স বুঝে কীভাবে তাদের উদ্যেশ্যে বিজ্ঞাপন সেট করবেন

৭ম পর্বঃ  ফেসবুক এড বিডিং এবং অপটিমাইজেশনের মাধ্যমে আরো কম খরচে বিজ্ঞাপন দিন

এই পুরো সিরিজটি আপনি ভালো করে পড়ুন এবং এই অনুযায়ী প্র্যাকটিস করতে থাকুন। একসাথে অনেকগুলো চাপ্টার নিয়ে চেষ্টা করতে যাবেন না, তাহলে আপনি সব গুলিয়ে ফেলতে পারেন। আমরা এভাবেই এই সিরিজটি তৈরি করেছি যাতে আপনি ধীরে ধীরে পুরো বিষয়টি সম্পর্কে ধারনা পেতে পারেন এবং একটি চ্যাপ্টার পুরোপুরি শেষ করলে পরবর্তী চ্যাপ্টারটি আপনার কাছে যেন অনেক সহজ হয়ে উঠে।

তাই তাড়াহুড়ো না করে খুব ধীরে সুস্থে সবগুলো পর্ব প্র্যাকটিস করুন এবং ধীরে ধীরে একজন সফল ফেসবুক মার্কেটার হয়ে উঠুন। ফেসবুক বিজ্ঞাপনের এই পুরো বিষয়টি যদি আপনার জানা থাকে, তাহলে আপনি তো বড় যে কোন ডিজিটাল মার্কেটিং কোম্পানিতে চাকরি পেতে পারেন এমনকি আউটসোর্সিং এর মাধ্যেম অনলাইনে আয়ও করতে পারবেন।

মনে রাখতে সফলতা কখনো সহজে ধরা দেয় না, এরজন্য প্রয়োজন কঠোর পরিশ্রম এবং অধ্যাবসায়।

আপনি যে কোন বিষয়ে যত বেশি সময় দিবেন সেই বিষয়টির উপর আপনি ততই এক্সপার্ট হয়ে উঠবেন। তাহলে আর দেরী কেন, এখনো যদি আমাদের সিরিজটি না পড়ে থাকেন, তাহলে প্রথম পর্ব থেকে শুরু করে দিন।

এই পুরো সিরিজটি পড়ার পর প্র্যাকটিস করার সময় আপনার যদি কোন কিছু নিয়ে কনফিউশন হয় তাহলে আমাদের কমেন্ট করে জানান, আপনার সমস্যার সমাধান করার জন্য আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব।

লেখক পরিচিতিঃ
MD.ARIFUR RAHMAN

Digital marketing specialist in Bangladesh

Digital Marketing Expert | SEO Expert | Digital Marketing Trainer |
PPC Expert | Social Media Specialist | Consultant । Affiliate Marketer

Sharing Is Caring

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to Top