আপনি হয়ত কোন ফ্রি সাইট থেকে একটি ছবি ডাউনলোড করে নিজের ওয়েবসাইটে আপলোড করে থাকেন। হ্যাঁ! এমনটা করা অবশ্যই উচিৎ, কেননা এতে কপিরাইট সম্পৃক্ত কোন ইস্যু থাকবে না।
তবে এর মানে কিন্তু এসইও অপটিমাইজ নয় এবং এর পেছনে রয়েছে বেশ কিছু কারণ।
প্রথমত এই আপলোড করা ছবিটির আকৃতি হয়ত অনেক বড় এবং অজান্তেই এই ছবিটি আপনার ওয়েবসাইটকে স্লো করে দিচ্ছে।
আকর্ষণীয় এই কোর্সটি করতে এখানে ক্লিক করুন
এছাড়াও আপলোড করা এই ছবিটি কিসের ছবি, সেটাও গুগুলকে বুঝতে দিতে হবে। তা না হলে সার্চ রেজাল্টের মধ্যে এই ছবিটি আসার সম্ভাবনা একদমই নেই।
সুতরাং বুঝতেই পারছেন যে কোন ছবি আপলোড করার সময় অনেকগুলো ইস্যু সম্পর্কে আপনার ধারনা থাকতে হবে, যাতে করে এই ছবিটি এসইও অপটিমাইজ হয় এবং আপনার ওয়েবসাইটের জন্য উপকারি ভূমিকা পালন করে।
কেননা একটি গবেষণা হতে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ওয়েবসাইটের ২০ শতাংশ ভিজিটর আসে সার্চ রেজাল্টে আসা ছবি থেকেই।
এসইও বিশেষজ্ঞরা বেশ ভালো করেই জানেন, এই ছবি আপলোড করার সময় যে সময়টি এসইও অপটিমাইজ করতে ব্যয় হবে। সেই সময়টি তার থেকে বহুন ফলপ্রসূ হয়ে আপনার কাছেই ফেরত আসবে।
সেই সময়টি তার থেকে বহুন ফলপ্রসূ হয়ে আপনার কাছেই ফেরত আসবে।
AliExpress.com Product – Forsining 3d Logo Design Hollow Engraving Black Gold Case Leather Skeleton Mechanical Watches Men Luxury Brand Heren Horlogeবিস্তারিত জানতে ক্লিক করুনঃ
এসইও (SEO) করে সফল হওয়ার ৯ টি সহজ উপায় !
যে কোন ছবি একটি ওয়েবসাইটের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ সম্পত্তি । আর এই ছবি অপটিমাইজেশনের কোন প্রচেষ্টা করলেন না, মানে হল আপনি একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ নষ্ট করলেন।
ব্যাপারটা এমন, যে আপনার আর্টিকেলগুলো অপটিমাইজ করে পাবলিশ করার পর গুগুল আপনাকে ফ্রি তে এই ইমেজ অপটিমাইজেশনের অপশনটি দিচ্ছে, আপনাকে শুধুমাত্র এই সুযোগটি সঠিকভাবে গ্রহণ করতে হবে, এই যা ।
এছাড়াও ইমেজ অপটিমাইজেশনের মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটরদেরও একটি সুন্দর অভিজ্ঞতা প্রদান করা সম্ভব এবং ওয়েবসাইটের স্পিড আরো দ্রুত করে ফেলা যাবে।
ফলাফল স্বরূপ আপনার ওয়েবসাইটের র্যাংকও ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাওয়া শুরু করবে।
ছবি এসইও অপটিমাইজ সম্পর্কে ম্যাট সাউদার্ন নামক একজন এসইও বিশেষজ্ঞ বলেন, “আমরা দীর্ঘদিন ধরে দেখছি যে, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের এমন অসাধারণ একটি মাধ্যমকে বেশীরভাগ মানুষই বেশ খানিকটা এড়িয়ে যায়।
আসুন তাহলে জেনে নেই, ওয়েবসাইটের এসইও অপটিমাইজ ক্ষেত্রে যে ব্যাপারগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণঃ
১। ছবির সঠিক ফরম্যাটটি ব্যবহার করুন
আপনি চাইলে বিভিন্ন রকমের ছবি দিয়ে আপনার ওয়েবসাইটটিকে চমৎকার ভাবে সাজিয়ে নিতে পারেন। তবে তার আগে আপনাকে অবশ্যই ছবির জন্য সঠিক ফরম্যাট নির্ধারণ করে নিতে হবে।
যদিও ছবির বিভিন্ন ধরণের ফরম্যাট হয়ে থাকে তবে সেগুলোর মধ্যে PNG এবং JPEG ফরম্যাটের ফাইলই বেশি দেখা যায়।
এই কোর্সটি করতে এখানে ক্লিক করুন
>> PNG —সাধারণত এই ফরম্যাটের ফাইলগুলোতে ছবির কোয়ালিটি খুবই চমৎকার থাকে, তবে এই ফাইলগুলোর সাইজ অন্যান্য ফরম্যাটের তুলনায় একটু বেশি থাকে।
>> JPEG —অপরদিকে এই ফরম্যাটের ফাইলগুলোতে হয়ত ছবির কোয়ালিটি কিঞ্চিৎ কম থাকে তবে সাইজ ছোট হওয়ার কারণে আপনি চাইলেই আকৃতি এবং কোয়ালিটির একটি চমৎকার সমন্বয় ঘটাতে পারবেন এই ফরম্যাট দিয়ে।
আমি সাধারণত পিএনজি ফরম্যাটটিই বেশি পছন্দ করে থাকি, তবে ছবিটি যদি কোন ফটোগ্রাফারের তোলা ছবি হয়ে থাকে তাহলে আমি JPEG ফরম্যাটই ব্যবহার করি।
২। এসইও অপটিমাইজ করতে ছবি কমপ্রেসড করে নিন অর্থাৎ আকার ছোট করে নিন
আপনি যদি ওয়েবসাইটে ব্যবহৃত ছবির আকৃতি ছোট করে না নেন তাহলে আপনার ওয়েবসাইটটি অনেক ধীর গতির হয়ে যাবে। আর ধীর গতির ওয়েবসাইট গুগুল সার্চের মধ্যে উপরের দিকে কখনই আসে না।
পুরো ব্যাপারটির সারমর্ম হল এই যে বড় সাইজের ছবি ব্যবহার করলে ওয়েবসাইটের এসইও অপটিমাইজ করা অনেক কঠিন হয়ে পরে।
উল্লেখ্য যে ছবির সাইজ ছোট করার করার জন্য TynyPNG এর মত বিভিন্ন ধরণের সফটওয়্যার পাওয়া গেলেও ফটোশপের মাধ্যমেই আপনি এটি করে নিতে পারবেন।
এছাড়া যে কোন ছবি কমপ্রেস করে নেয়ার জন্য ওয়ার্ড-প্রেসে বিভিন্ন ধরণের প্লাগ-ইনও রয়েছে।
সে যাই হোক, ব্যক্তিগত ভাবে আমি WP Smush নামক প্লাগিনটি পছন্দ করে থাকি। কেননা, এই প্লাগইনটি ছবির কোয়ালিটি তেমন একটা খারাপ না করেই ছবির আকৃতি ছোট করে ফেলতে পারে।
একটি গবেষণায় উঠে এসেছে যে কমপ্রেসড করা ছবি আপলোড করার মাধ্যমে পুরো ওয়েবসাইটের স্পিড ৩৩ শতাংশ বৃদ্ধি করে ফেলা সম্ভব।
ছবি আর ওয়েবসাইটের গতির মধ্যকার সম্পৃক্ততা নিয়ে আপনার মনে যদি আরো কৌতূহলের জন্ম নেয় তাহলে আপনি গুগুলের PageSpeeD Insights Tool টি ব্যবহার করার ব্যাপার পরামর্শ দিব।
৩। একদমই ইউনিক অর্থাৎ নতুন ছবি তৈরি করে ওয়েবসাইটে আপলোড করুন
আপনি যদি সবসময় নিজের ওয়েবসাইটের ফ্রি স্টক ইমেজ থেকে ছবি নিয়ে ব্যবহার করেন তাহলে আপনার ওয়েবসাইটের কখনই স্বতন্ত্র একটি পরিচয় তৈরি হবে না। কেননা, ইতোমধ্যেই অনেক ওয়েবসাইটই এই ধরণের ফ্রি ছবি নিয়ে ব্যবহার করছে। যে কোন কর্পোরেট ওয়েবসাইটে আপনি হয়ত ইতোমধ্যেই এমন কিছু ছবি দেখেছেনঃ
এখন সবার মত যদি আপনিও একই ধরণের ছবি ব্যবহার শুরু করেন তাহলে আপনার ওয়েবসাইটকে আলাদা ভাবে কেউ গুরুত্ব সহকারে নিবে না।
৪। কপিরাইটের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করুন
আপনি নিজের ওয়েবসাইটের জন্য যে ছবিই ব্যবহার করে থাকেন না কেন, সতর্ক থাকলে হবে যেন কেউ সেই ছবির বিরুদ্ধে কপিরাইট মামলা না করে বসে। বিষয়টি একটু খুলে বলাই ভালো, ধরুন আপনি একজন ফটোগ্রাফার অথবা গ্রাফিক্স ডিজাইনার।
এখন আপনি অনেক কষ্ট করে বেশ কিছু ছবি তুললেন অথবা তৈরি করলেন। এখন আপনার অনুমতি ছাড়াই যদি কেউ আপনার ছবিগুলো ব্যবহার করে থাকে তাহলে আপনার কেমন লাগবে? আপনি কি তার বিরুদ্ধে আপনার অনুমতি ছাড়া ছবি ব্যবহারের জন্য মামলা করে দিবেন না?
হ্যাঁ! ঠিক এভাবেই, কারো ছবি তার অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা একদমই উচিৎ নয়। বর্তমানের এই আধুনিক সময়ে অনলাইনেও অনুমতি ছাড়া কোন কিছু ব্যবহার বিষয়ক অনেক আইন তৈরি হয়েছে।
তার মধ্যে “Digital Millennium Copyright ACT (DMCA)” অন্যতম। তবে গুগুলের মাধ্যমে আপনি চাইলেই কপিরাইট মুক্ত ছবি খুঁজে বের করতে পারবেন, যেগুলো ব্যবহার করলে আপনাকে এই ধরণের আইনি বিড়ম্বনার শিকার হতে হবে না।
৫। এসইও অপটিমাইজ করতে ছবির ফাইলটির নাম নিজের সুবিধা অনুযায়ী পরিবর্তন করে নিন
এসইও অপটিমাইজ অর্থাৎ সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের ক্ষেত্রে বাছাইকৃত কি-ওয়ার্ড দিয়ে ছবির সঠিক নামটি ব্যবহার করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আপনি যদি নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী ছবি নাম পরিবর্তন না করে দেন তাহলে ইন্টারনেটে লাখো ছবির মাঝে আপনার আপলোড করা ছবিটিও হারিয়ে যাবে। কেননা গুগুল কখনই বুঝবে না আপনার আপলোড করা এই ছবিটি আদতে কিসের ছবি ।
সাধারণত ছবির ফাইল নেমগুলো কিছুটা IMG_722019 এমন হয়ে থাকে। এই নামের মাধ্যমে গুগুল কোন ভাবেই ছবিটি সম্পর্কে কিছু বুঝতে পারবে না।
কেননা, আপনার নামই যদি না থাকল তাহলে গুগুল কিভাবে বুঝবে কোন নামে ডাক দিলে আপনাকে খুঁজে পাওয়া যাবে?
উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, আপনি যদি ওয়েবসাইটে একটি চকোলেটের ছবি ব্যবহার করতে চান তাহলে অবশ্যই ছবিটির নাম “চকোলেট” দিয়ে নিন। আবার আপনার ছবিটি যদি ডার্ক চকোলেট এর হয়ে থাকে তাহলে সেই নামেই ছবির নামকরণ করে নিন।
তাহলে গুগুল বুঝতে পারবে যে আপনি আপলোড করা এই ছবিটি একটি ডার্ক চকোলেটের ছবি।
৬। ছবি আপলোড করার পর এসইও অনুযায়ী Alt Text ব্যবহার করুন
ঠিক ছবির নামের মতই Alt text এর মাধ্যমেও গুগুল যে কোন ছবি সম্পর্কে বুঝতে পারে। আপনি যে ছবিটি আপলোড করেছেন, সেই নামের সাথে সম্পর্কিত একটি বিবরণ Alt Text হিসেবে ব্যবহার করুন।
কেননা, এইভাবে ছবি আপলোড করে থাকবে আপনার পুরো সাইটটির সবগুলো ছবি সম্পর্কে গুগুল জানতে পারবে এবং সম্পৃক্ত সার্চ রেজাল্টের মধ্যে আপনার ওয়েবসাইটটিও থাকবে।
এছাড়া বর্তমানে American Disabilities Act এর মাধ্যমে যে কোন ছবির মধ্যে Alt Text ব্যবহার করতে হবে। কেননা, ছবি দেখতে পারছে না এমন যে কেউ Alt text এর মাধ্যমে উক্ত ছবিটি সম্পর্কে ধারনা পেয়ে যাবেন।
Alt text এর মাধ্যমে ছবি সম্পর্কে একটু বিস্তারিত বিবরণ দেয়ার চেষ্টা করুন। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, আপনার ছবিটির নাম যদি “Dark chocolate” হয়ে থাকে তাহলে ছবিটি একটি চকোলেট বারের হয়ে থাকে, তাহলে সেই সম্পর্কে Alt text এ লিখে দিন, “Dark chocolate coffee flavoured bar”।
এই বিবরণের মাধ্যমে উক্ত ছবিটি কিসের সেই সম্পর্কে ধারনা পাওয়া যাবে।
৭। ওয়েবসাইটে ছবির সঠিক স্ট্রাকচার সম্পর্কে সতর্ক হন
২০১৮ তে গুগুল ছবি সম্পৃক্ত একটি গাইডলাইন প্রকাশ করেছিল, যে আপডেটের মধ্যে ছবি সম্পর্কে বিস্তারিত নির্দেশনা দিয়ে দেয়া হয়েছিল। এই গাইড লাইন মেনে চললে আপনি খুব সহজেই ওয়েবসাইট র্যাংক করিয়ে ফেলতে পারবেন।
উদাহরণ স্বরূপ বলা যেতে পারে, আপনার যদি একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট থাকে। তাহলে ছবি আপলোডের ক্ষেত্রে তাদের নিজস্ব ক্যাটাগরি অনুযায়ী আপলোড করাই ভালো।
অর্থাৎ পুরুষদের প্যান্টের মধ্যে শুধুমাত্র “জেন্টস” নাম না দিয়ে বরং সবগুলো পণ্যের নাম অনুসারে আপলোড নামকরণ করুন যেমন শর্টস, ডেনিম, জিন্স ইত্যাদি।
৮। আপনার পেজের টাইটেলের সাথে ছবির নামগুলোর সম্পৃক্ততা রাখুন
কিছুদিন আগেই গুগুলে এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যেই পেজ অথবা পোস্টের মধ্যেই আপনি ছবি আপলোড করছেন, সেই পেজের টাইটেল এবং ডেসক্রিপশনের সাথে ছবির নাম এবং Alt Text এর সম্পর্ক থাকতে হবে।
এই নিয়মের মাধ্যমে অসামঞ্জস্য ছবিগুলো গুগুল আলাদা করে ফেলতে পারে। মূল কথা হল, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন করার অন্যান্য উপায়গুলোর সাথে আপনার ছবিও সম্পৃক্ত হতে হবে।
এছাড়া আরেকটি মজার তথ্য হল, গুগুল যখন যে কোন একটি সার্চ রেজাল্টে ছবি দেখায়। তখন সেই ছবিটি যেই পেজে আপলোড হয়েছে তার meta dada, header tag, পোস্টের মধ্যে লেখা সব সবকিছু বিবেচনায় রেখেই কেবল ছবিটি সার্চ রেজাল্টের মধ্যে দেখিয়ে থাকে।
৯। কোডিং এর মধ্যে ছবির আকৃতি নির্ধারণ করে দিন
আপনি যদি ওয়েবসাইটের AMP অথবা PWAs ভার্শন ব্যবহার করে থাকেন তাহলে আপনার আপলোড করা ছবিটির সোর্স কোডের মধ্যেই ছবির আকৃতি সম্পর্কে লিখে দিন।
তনে আপনি যদি সেই রকম কোন ভার্শন ব্যবহার না করে থাকেন তাহলে, তাহলেও আপনার ওয়েবসাইটের সিএসএস এর মধ্যে ছবিটির দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থ নির্ধারণ করে দিন।
এর মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটটিতে যখন মোবাইল অথবা ট্যাব থেকে ঢোকা হবে তখন খুব সহজেই ছবিটি নিজের আকৃতি পরিবর্তন করে নিতে পারে।
১০। ছবিগুলো মোবাইল ফ্রেন্ডলি করে নিন
আপনার ছবিটি যদি মোবাইল অপটিমাইজড না হয়ে থাকে তাহলে হয়ত ওয়েবসাইটে ভিজিটর আসবে কিন্তু ছবির অসামঞ্জস্য আকৃতির কারণে ওয়েবসাইটে না থেকে বরং বের হয়ে যাবে।
আর তাই ওয়েবসাইটে আপলোড করা ছবিগুলো যাতে মোবাইল-ফ্রেন্ডলি হয়ে থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখুন।
এখন প্রশ্ন হল আপনি কিভাবে মোবাইল ফ্রেন্ডলি ছবি তৈরি করবেন? আদতে ছবি যখন ওয়েবসাইটে আপলোড করা হবে তখন ছবির দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থ অনুযায়ী ওয়েবসাইটে ছবি না দেখিয়ে বরং পারসেন্ট অনুযায়ী ছবি দেখান।
এর মাধ্যমে মোবাইল অথবা ডেক্সটপ যে স্ক্রিন থেকেই ওয়েবসাইটটি দেখা হোক না কেন, স্ক্রিনের পার্সেন্ট অনুযায়ী ছবি দেখানো হবে।
১১। সাইট ম্যাপে ছবি যোগ করে দিন
আপনি ছবির জন্য আলাদা সাইট-ম্যাপ করুন অথবা সাইট-ম্যাপের মধ্যে ছবি যোগ করে দিন, যাই করুন না কেন, আপনার ওয়েবসাইটের সাইট-ম্যাপের মধ্যে অবশ্যই ছবি যোগ করে দিতে হবে।
কেননা, সাইট ম্যাপের মাধ্যমেই মূলত গুগুল আপনার ওয়েবসাইট সম্পর্কে সব তথ্য গ্রহণ করে থাকে। আর তাই আপনার সবগুলো ছবির সঠিক তথ্য যখন সাইট ম্যাপের মাধ্যমে গুগুলের কাছে থাকবে তখন আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটরের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
আপনি যদি ওয়ার্ড-প্রেস ব্যবহার করে থাকেন তাহলে “Yoast Seo” প্লাগ-ইনের মাধ্যমেই খুব সহজে ওয়েবসাইটের সাইট ম্যাপ তৈরি করে নিতে পারেন।
আর তাই আপনি যখনই ওয়েবসাইটে নতুন কোন ছবি আপলোড করতে যাবেন, তখন দেখে নিন উপরে বর্ণীত এই গাইডলাইনটি পুরোপুরি ফলো করা হচ্ছে কি না। তবে এরমধ্যে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল সঠিক কি-ওয়ার্ড ব্যবহার করে ছবি নাম এবং Alt Text এর বিবরণ দেয়া। অন্যান্য যে বিষয়গুলোর দিকেও সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে সেগুলো নিম্নরূপঃ
>>ছবির সঠিক ফরম্যাটটি ব্যবহার করুন। ব্যক্তিগত ভাবে আমার PNG ফরম্যাটটি বেশি পছন্দের
>>ছবির আকৃতি ছোট করে নিন যাতে করে ওয়েবসাইটের স্পিড বেশি রাখা যায়
>>আপনার ছবিটির তথ্যগুলো যেন পেজের তথ্য (meta dada, header tag, keyword etc) এর সাথে সামঞ্জস্য হয়ে থাকে
>>গুগুল যাতে আপনার সাইটটি ইনডেক্স করে নিতে পারে এজন্য ওয়েবসাইটের জন্য সাইট-ম্যাপ ব্যবহার করুন
বর্তমানে ভয়েসের মাধ্যমে সার্চ অনেক বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে ওয়েবসাইটের অন্যান্য কন্টেন্ট সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজড করার জন্য বিভিন্ন টেকনিক অবলম্বন করার পাশাপাশি ছবিগুলোও সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজড হওয়া খুবই জরুরী। সবকিছুর পাশাপাশি ছবিও যখন অপটিমাইজড হবে তখন আপনি খুব সহজেই নির্ধারিত কি-ওয়ার্ড অনুযায়ী সাইটটি র্যাংক করিয়ে নিতে পারবেন।
লেখক পরিচিতিঃ
Digital Marketing Expert | SEO Expert | Digital Marketing Trainer |
PPC Expert | Social Media Specialist | Consultant