ফেসবুক মার্কেটিং এর ফ্রি মেথডগুলোর মধ্যে ফেসবুক গ্রুপ মার্কেটিং অন্যতম একটি মেথড। একটি একটিভ গ্রুপ মানেই আপনার লাখ লাখ টাকার সেল। শুধুমাত্র যে একজনের বিক্রি তা নয় বরং হাজার মানুষ এই সব গ্রুপ থেকে নিজেদের বিভিন্ন পণ্য বিক্রয় করে লাভবান হতে পারবেন। এর জলজ্যান্ত উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে বর্তমান ফেসবুকের উদ্যোক্তাদের বিভিন্ন গ্রুপ।
শুধুমাত্র এই ফেসবুক গ্রুপগুলোতে ঠিকমত মার্কেটিং করেই মানুষ প্রতি মাসে লাখেরও অধিক টাকার পণ্য বিক্রয় করে যাচ্ছেন। আর আপনার যদি নিজের একটি গ্রুপ থাকে তাহলে তো পোয়াবারো। নিজের পণ্যের কাস্টোমারদের এবং পরিচিত মানুষদের একসাথে করে অনেকেই ফেসবুক গ্রুপ খুলে বেশ লাভবান হচ্ছেন।
উপরের কোর্সটি করার জন্য ক্লিক করুন
আজকের এই আর্টিকেলে আমরা ফেসবুক গ্রুপ মার্কেটিং সম্পর্কে সব ধরণের প্রয়োজনীয় তথ্যাবলি জানাব।
এছাড়া আপনি যদি একজন ফ্রিল্যান্সার হয়ে থাকেন, তাহলে আপনি ফ্রিল্যান্সিং ক্ল্যায়েন্টদের একটি গ্রুপে রাখতে পারেন। এমনকি যদি স্টুডেন্টদের ফ্রিল্যান্সিং ক্লাস নিয়ে থাকেন, তাহলে স্টুডেন্টদের একটি গ্রুপে এড করে রেখে দিতে পারেন।
আপনি যদি একজন ফ্রিল্যান্সার হয়ে থাকেন আর এখনো ফ্রিল্যান্সারদের আইডি কার্ড না করেন, তাহলে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ফ্রিল্যান্সারদের আইডি কার্ডটি ইস্যু করে নিতে পারেন।
ফেসবুক গ্রুপ যেভাবে আপনার ব্যবসার প্রসার করতে পারে
বিগত এক দেড় বছর ধরেই দেখা যাচ্ছে ফেসবুক গ্রুপ এবং ব্যবসার সাথে একটি ওতপ্রোত সম্পর্ক তৈরি করে অনেকেই নিজেদের ব্যবসা বিপুল হারে বৃদ্ধি করতে পারছেন। তবে আপনি যদি নিজের ব্যবসার নামে কোন একটি গ্রুপ খুলে সেটা হল আপনার ব্যবসার অফিশিয়াল ফেসবুক গ্রুপ।
আপনি চাইলে এই গ্রুপে প্রতিনিয়ত আপনার কাস্টোমারদের এড করে রাখতে পারেন। এছাড়াও নিয়মিত বিভিন্ন ধরণের অফার এবং নতুন পণ্যের বাহারি বিজ্ঞাপন দিয়ে কাস্টোমারদের একটিভ রাখতে পারেন।
এই কাজগুলো আপনি কেন করবেন? আর এভাবে ফেসবুক গ্রুপ একটিভ রেখেই বা কি লাভ? হ্যাঁ! ফেসবুক গ্রুপে একটিভ থাকা এবং গ্রুপ মার্কেটিং করার উপকারিতা গুলো নিম্নে বর্ণনা করা হলঃ
কাস্টোমারদের সাথে দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্ক তৈরি করে রাখা যায়
আদতে আপনি যখন একজন কাস্টোমারের কাছে একটি পণ্য বিক্রয় করবেন, তখন মনে রাখবেন এটাই শেষ নয়। আপনি যদি এই কাস্টোমারের সাথে সুসম্পর্ক তৈরি করতে পারেন, তাহলে এই কাস্টোমার পরবর্তীতে আপনার কাছ থেকেই পণ্য ক্রয় করবে।
আর এভাবে যদি একটু চমৎকার সম্পর্ক তৈরি হয়ে যায়, তাহলে দেখবেন সেই কাস্টোমার নিজ থেকেই আপনার কোম্পানি সম্পর্কে তার পরিচিত মানুষদের জানান দিচ্ছে। আর এই কাজগুলো আপনি চাইলেই নিজেই একটি অফিশিয়াল গ্রুপ তৈরি করে কাস্টোমারদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করতে পারেন।
আপনি যখন আপনার কাস্টোমারদের সাথে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রক্ষা করবেন এবং আপনার পণ্য সম্পৃক্ত যাবতীয় প্রশ্ন ও সমস্যার সমাধান দিবেন। তখন কাস্টোমারদের আপনার উপর আলাদা বিশ্বাস তৈরি হবে। মনে রাখবেন একজন হ্যাপি কাস্টোমারের কাছে আপনি সারাজীবন ধরে পণ্য বিক্রয় করে যেতে পারবেন।
ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে ফ্রিতেই অনেক মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়া সম্ভব
হ্যাঁ! ফেসবুক গ্রুপের এই একটি বিষয় অনেক চমৎকার। একবার ভেবে দেখুন প্রতিনিয়ত একজন দুইজন করে এড করতে করতে আপনার ফেসবুক গ্রুপ যখন প্রায় চার থেকে পাঁচ হাজার কাস্টোমার এড করে ফেলবেন, তখন ব্যাপারটা কেমন হবে?
পটেনশিয়াল কাস্টোমারের কাছে যে বিজ্ঞাপন পৌঁছানর জন্য আপনার ফেসবুক বিজ্ঞাপন দেয়া লাগত বা সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করতে হত, সেখানে তার চেয়ে আরো ভালো পটেনশিয়াল কাস্টোমারদের কাছে বিজ্ঞাপন দেয়ার জন্য আপনার কোন খরচই হবে না। শুধুমাত্র গ্রুপে আপনার আকর্ষণীয় অফার বা নতুন পণ্য সম্পর্কে জানিয়ে পোষ্ট দিলেই চলছে।
এখন একটু চিন্তা করুন, এরা আপনার পটেনশিয়াল কাস্টোমার কেন? ঠিক এই কারণেই, কেননা এরা ইতোমধ্যেই আপনার কাছ থেকে পণ্য ক্রয় করেছে। এবং যেহেতু আপনি তাদের সন্তুষ্ট করতে পেরেছেন, তাই আপনার উপর তাদের বিশ্বাস এবং আস্থা রয়েছে। পরবর্তীতে আপনার কাছ থেকে পণ্য ক্রয়ের ব্যাপারে আস্থার বিষয়টি নিয়ে তারা দ্বিতীয়বার ভাববে না।
এভাবে শুধুমাত্র আপনার ব্যবসার একটি অফিশিয়াল ফ্যান পেজ মেইন্টেন করে আপনি বেশ চমৎকার ভাবে বিজ্ঞাপন দিতে পারবেন। তাও একদমই ফ্রি! তাই আর দেরী কেন? অবশ্য গ্রুপ খোলার আগে আপনাকে নিজের ব্যবসার একটি ফ্যান পেজ খুলে নেয়া ভালো, তাহলে কারো কোন কিছু জানার থাকলে তারা পেজের ইনবক্সে মেসেজ করতে পারবে। আর কিভাবে আকর্ষণীয় উপায়ে একটি ফ্যান পেজ খুলতে হয়, সেটা জানতে হলে লিংক করা আর্টিকেলটি পড়ে দেখতে পারেন।
গ্রুপের মাধ্যমে আপনি কাস্টোমারদের বিশ্বাস অর্জন করতে পারবেন
একজন কাস্টোমার যখন দেখবেন একটি ব্যবসা বা উদ্যোগের একটি অফিশিয়াল গ্রুপ রয়েছে এবং সেখানে একজন প্রতিনিধি প্রত্যেকটি কাস্টোমারের প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছে এবং যাবতীয় সমস্যার সমাধান করছেন, তখন এমনিতেই কাস্টোমারদের কাছে মনে হবে এই কোম্পানিটি নিশ্চয়ই ভালো।
আর যেহেতু এখানে উদ্যোক্তা এবং ভোক্তা উভয়ের মাঝে চমৎকার একটি সেতু বন্ধন তৈরি হয়েছে, তাই এখানে চাইলেই সুন্দর একটি সম্পর্ক স্থাপন করা যেতে পারে। এছাড়া বর্তমানে ফেসবুক গ্রুপের নতুন অনেক ফিচার যেমন সেলিং, ডিসকাশন, ইউনিট সহ আরো ফিচারগুলোর মাধ্যমে আরো চমৎকার ভাবে গুছিয়ে কাস্টোমারের সাথে যোগাযোগ করা যায়।
এছাড়া বর্তমানে অনেককেই দেখা যায় ফেসবুক লাইভে এসে সরাসরি কাস্টোমারের সাথে কথা বলে পণ্য বিক্রয় করছেন। এই চমৎকার ফিচারটি আপনার এবং কাস্টোমারের সাথে সেতু বন্ধন করিয়ে দিতে বেশ উপকারী ভূমিকা রাখতে পারে। ভিডিও বুস্ট থেকে বরং এই ধরণের লাইভ অনেক বেশি কার্যকর।
ফেসবুক পেজ এবং গ্রুপের মধ্যে পার্থক্য কি?
অনেকেই মনে করে থাকেন যে, যেহেতু আমার একটি ফেসবুক ফ্যান পেজ রয়েছে। কি দরকার আবার আরেকটি গ্রুপ তৈরি করার?
আদতে এটার প্রয়োজন আছে। কেননা আপনার ফ্যান পেজটি আদতে বিজনেস প্রোফাইল হিসেবে দেখা যায়। আর গ্রুপ হল সেই ব্যবসা ঘিরে যে কমুনিটি তৈরি হয় সেটার জায়গা। ফ্যান পেজের মাধ্যমে আপনি নানান ভাবে বিজ্ঞাপন প্রদান করতে পারবেন এবং চাইলেই নির্দিষ্ট একটি এলাকা ভিত্তিক বিজ্ঞাপন দিতে পারবেন।
যেখানে ফেসবুক গ্রুপে পোষ্ট বা কোন কিছু শেয়ার করলে সেটা আদতে সব এলাকার লোক অর্থাৎ গ্রুপে যারা আছে তারা সবাই দেখতে পায়। এছাড়া এই গ্রুপের মাধ্যমে আপনি ভোক্তাদের সাথে সরাসরি কথা বলতে পারবেন।
যেখানে ফ্যান পেজে আপনাকে অনেকটাই ফর্মাল ভাবে থাকতে হয় সেখানে কাস্টোমাদের সাথে আড্ডা বা গল্পের ছলেও আপনি গ্রুপে একটিভ থাকতে পারবেন।
ফেসবুক গ্রুপের গুনাগুণ তো অনেক হল। এবার আসুন দেখি হাতে কলমে শিখে নেই কিভাবে একটি গ্রুপ খুলব এবং গ্রুপে সবকিছু ম্যানেজ করব।
ফেসবুক গ্রুপ কিভাবে খুলবেন?
ফেসবুক গ্রুপ সম্পর্কে মোটামুটি অনেক কিছুই জেনে গেলাম আমরা। এখন তাহলে প্রস্তুত একটি গ্রুপ খুলে নিজের ব্যবসার প্রসার করার জন্য?
১। প্রথমে আপনার প্রোফাইল পিকচারের কাছে দেখবেন একটি প্লাস (+) সাইন রয়েছে। সেটাতে ক্লিক করলেই আপনি গ্রুপ খোলার অপশনটি পেয়ে যাবেন।
২। গ্রুপে ক্লিক করার পর নতুন আরেকটি ট্যাব ওপেন হয়ে যাবে। সেখানে আপনি একটি গ্রুপ খলার জন্য যাবতীয় তথ্যাবলি পেয়ে যাবেন। এখানে আপনি ঠিক করে দিতে পারবেন যে আপনি কি পাবলিক গ্রুপ, প্রাইভেট গ্রুপ নাকি সিক্রেট গ্রুপ তৈরি করতে চান।
এছাড়া গ্রুপের নাম, কাভার ফটো আপনাকে এখানেই সেট করে নিতে হবে। আপনাকে কিন্তু ফেসবুক গ্রুপে আকর্ষণীয় সব কাভার ফটো এবং লেখা লিখতে হবে। এটা কিছুটা ফেসবুক বিজ্ঞাপনে আকর্ষণীয় ছবি ও লেখা দেয়ার মতই একটি বিষয়।
আপনি যদি গ্রুপ পাবলিক রাখেন, তাহলে আপনার গ্রুপের যাবতীয় তথ্য এবং পোষ্ট যে কেউ এসে দেখতে পারবেন। আর যদি প্রাইভেট রাখেন তাহলে গ্রুপটি যে কেউ দেখতে পারবে কিন্তু গ্রুপের যাবতীয় পোষ্টগুলো কেউ দেখতে পারবে না।
আর আরেকটি অপশন হল আপনি চাইলে গ্রুপটিকে হাইড করে রাখতে পারবেন। অর্থাৎ আপনার এড করা মেম্বার ব্যতীত কেউ এই গ্রুপের কিছু দেখতে পারবে না।
৩। এই একই স্ক্রিনেই দেখবেন ইনভাইট নামের একটি অপশন রয়েছে। এখানে আপনি নিজের বন্ধু অথবা ফ্রেন্ড লিস্টে থাকা কাস্টমারদের এড করতে পারবেন। তবে গ্রুপ খুলতে হলে প্রথমেই আপনার কয়েকজনকে এড করে নিতে হবে।
৪। আপনি যখন গ্রুপ খুলে ফেলবেন, তখন সাথে সাথেই কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাবলি আপনাকে গ্রুপের যোগ করে দিতে হবে।
প্রথমেই যোগ করতে হবে গ্রুপের ডিসক্রিপশনঃ
এই অংশে আপনার গ্রুপটি আসলে কি? এবং কেন এই গ্রুপ খোলা হয়েছে এছাড়া গ্রুপের কিছু সাধারণত নিয়ম কানুন লিখে দিতে পারেন। অফিশিয়াল গ্রুপ হলে এখানে অবশ্যই আপনার ফ্যান পেজের লিংক এবং সেই ফ্যান পেজের অফিশিয়াল গ্রুপ হিসেবে লিখে দিতে হবে।
এরপর আপনি মেম্বার ম্যানেজমেন্ট করবেন। এখানে দেখতে পাবেন বেশ কয়েকটি অপশন। আপনি কি চান যে কেউ আপনার গ্রুপের জয়েন রিকুয়েস্ট দিতে পারবেন? নাকি আপনি চান এই গ্রুপটি শুধুমাত্র ইনভাইট অনলি অপশনে থাকুক?
এছাড়াও চাইলে গ্রুপ মেম্বাররাও গ্রুপের জয়েন রিকুয়েস্ট একসেপ্ট করতে পারে সেটা চালু করে দিতে পারেন। তবে যদি আপনার গ্রুপটি অফিশিয়াল ব্র্যান্ড গ্রুপ হয়, তাহলে এইসব যাবতীয় নিয়ন্ত্রণ গ্রুপের এডমিনদের কাছেই দিয়ে রাখা উত্তম।
এবার একটি চমৎকার কাভার ফটো আপলোড করে দিন। আপনার অফিশিয়াল গ্রুপের জন্য আপনার কোম্পানি বা ব্যবসার লগো সম্বলিত চমৎকার এবং আকর্ষণীয় একটি কাভার ফটো আপলোড করলে মানুষের কাছে আপনার প্রথম ইম্প্রেশন খুব ভালো থাকবে। সবাই মনে করবে আপনি অনেক প্রফেশনাল।
আপনার ব্যবসার জন্য কিভাবে ফেসবুক গ্রুপ তৈরি করে নিবেন?
আপনি যেহেতু গ্রুপটি ব্যবসার অফিশিয়াল গ্রুপ হিসেবে তৈরি করতে চান, তাই একদম প্রথম থেকেই এটাকে ফ্যান পেজের কমুনিটি হিসেবে তৈরি করে নিতে হবে। আর তাই আপনার ফ্যান পেজ এবং গ্রুপের মধ্যে একটি লিংক বা সম্পর্ক স্থাপন করে নিতে হবে।
যাতে করে যে কেউ আপনার গ্রুপে আসলেই বুঝতে পারে এটা আপনার ব্যবসার ফ্যান পেজের আন্ডারে। আবার ঠিক একই ভাবে আপনার ফ্যান পেজে যে কেউ গেলে গ্রুপ সম্পর্কে জানতে পারে।
গ্রুপ সিটিংস এর বাম পাশে একটি নিচে স্ক্রল করে দেখবেন এডভান্স সিটিংস। সেখানে আপনি গ্রুপের সাথে ফ্যান পেজের লিংক প্রতিস্থাপন করতে পারবেন। এমনকি আপনার যদি কোন এপ্লিকেশন থাকে তাহলে সেটাও এখানে লিংক করে দিতে পারবেন।
ফেসবুক গ্রুপে পোষ্ট করা সম্পৃক্ত যাবতীয় তথ্য
ফেসবুক গ্রুপে পোস্ট করার সময় আপনি বেশ কয়েকটি অপশন পেয়ে যাবেন। চাইলে আপনি তাৎক্ষণিক পোষ্ট তো করতেই পারবেন আবার পোষ্ট শিডিউল করে রাখতে পারবেন। অর্থাৎ আপনি এখন বসে এমনভাবে পোষ্ট সেট করে দিতে পারবেন, যাতে করে সেই পোস্টটি আগামী কাল বিকেলে অথবা সকালে অথবা আপনার পছন্দের সময়ে পোষ্ট হয়। এভাবে আপনি চাইলে অনেকগুলো পোস্ট শিডিউল করে রাখতে পারেন।
ক্রিয়েট পোষ্টে আপনি যে কোন ধরণের টেক্সট, ইমেজ, ভিডিও অথবা জিফ ফাইল পোষ্ট করতে পারবেন। এমনকি চাইলে এই পোস্টগুলোর সাথে আপনি কয়েকজনকে ট্যাগও করে দিতে পারবেন। তাহলে আপনার ট্যাগকৃত বন্ধুদের কাছে সরাসরি পোস্টের নোটিফিকেশন চলে যাবে।
এই পোস্টগুলো আপনি চাইলে শিডিউল করে নিতে পারবেন। শিডিউল অপশনে আপনি তারিখ এবং সময়ের আলাদা দুইটি ট্যাব পাবেন। সেখানে আপনার পছন্দের তারিখ এবং সময় অনুযায়ী পোষ্ট সেট করে নিন।
আর আপনার যদি অনেকগুলো পোস্ট শিডিউল করা হয়ে থাকে। তাহলে সেগুলোও আপনি চাইলে পোষ্ট হওয়ার আগে পরিবর্তন এবং এডিট করতে পারবেন।
ফেসবুক গ্রুপকে কাজে লাগিয়ে যেভাবে ব্যবসার প্রসার করবেন
কাস্টোমার কেয়ার এবং কাস্টোমার সাপোর্টের একটি মাধ্যম হিসেবে গ্রুপকে ব্যবহার করতে পারেন
বর্তমানে আপনি কাস্টোমার কেয়ার যত বেশি প্রফেশনাল ভাবে করতে পারবেন ততই আপনার ব্যবসার প্রসার হবে। আপনার পণ্য সম্পৃক্ত কাস্টোমারের যাবতীয় সমস্যা এবং প্রশ্নের যদি আপনি গ্রুপে দেন, তাহলে কাস্টোমার আপনার উপর ভরসা করতে পারবে। তারা ভাববে এখান থেকে পণ্য ক্রয় করার পর কোন সমস্যা হলে তো অবশ্যই সমাধান হবে একটা।
আপনার ফ্যান পেজে যারা আছে তারাও যাতে একে অপরের সাথে পরিচিত হতে পারে
ফেসবুক গ্রুপে একজন আরেকজনের সাথে খুব সহজেই যোগাযোগ করা যায়। আর আপনার পণ্যের কাস্টোমারদের মধ্যে যদি একজনের সাথে অপর জনের পরিচয় থাকে, তাহলে তারা যেহেতু আপনার মাধ্যমে পরিচিত হচ্ছে তাই এতে করে আপনার পণ্যের প্রসার অনেক বৃদ্ধি পাবে। কেননা তাদের আলোচনার একটি কমন জায়গা থাকবে আপনার উদ্যোগ।
এছাড়া ধরুন আপনার পণ্য রিলেটেড একটি সমস্যা হয়েছে একজন কাস্টোমারের। তখন যদি আরেকজন কাস্টোমার সেই সমস্যার সমাধান করে দেয়, তখন আপনার উপর ভরসার জায়গাটা আরো বেড়ে যায়। কাস্টোমাররাই যখন একজন আরেকজনের সাহায্য করে তখন আপনার কাজও অনেকটাই কমে যায়।
কাস্টোমার রিভিউ পাওয়ার একটি অন্যতম মাধ্যম
কাস্টোমাররা যখন নিজেদের ভালো লাগা এবং মন্দ লাগাগুলো কোথাও শেয়ার করতে পারবে তখন কাস্টোমাররা আপনার পণ্যের প্রতি আরো বেশি আগ্রহ হবে। এখানে আপনার দুটো লাভ আছে, প্রথমত কাস্টোমারের যদি ভালো লাগে তাহলে সেটা দেখে অনেকেই পণ্য ক্রয় করতে আগ্রহী হবে।
আবার কাস্টোমারের যদি খারাপ লাগে, আপনি সরাসরি মার্কেট অবজার্ভ করতে পারছেন। এতে করে নিজের ভুলগুলো শুধরে নিয়ে আরো ভালো পণ্য বিক্রয় করতে পারবেন।
নতুন পণ্য সম্পর্কে জানানো জন্য
আপনার কোম্পানি ভা ব্যবসায় যদি নতুন কোন পণ্য আসে, তাৎক্ষণিক ভাবে সেটা আপনার কাস্টোমারদের জানানো অন্যতম একটি উপায় হল ফেসবুক গ্রুপ। আর আপনি যদি নতুন পণ্য নিয়ে কোন ধরণের আকর্ষণীয় অফার ছাড়েন, তাহলে একদম শুরুতেই আপনি পণ্যটি বিক্রয় করতে পারছেন।
ফেসবুক গ্রুপ একটিভ রাখার জন্য ছয়টি টিপসঃ
** গ্রুপের একটি আচরণ বিধি তৈরি করুন। যেমন একে অন্যের সাথে বাজে ব্যবহার করতে পারবে না। বাজে কমেন্ট করতে পারবে না ইত্যাদি।
** নিয়মিত আপনার পণ্য সম্পৃক্ত ঘোষণা দিয়ে সবাইকে একটিভ রাখুন
** নতুন মেম্বারদেরকে নিয়ে ওয়েলকাম পোষ্ট করুন
** কাস্টোমারদের সবগুলো প্রশ্ন এবং কমেন্টের রিপ্লাই দিন
** পোষ্ট মডারেশন অন রাখুন। যাতে করে কেউ কোন ধরণের স্প্যামিং এবং আপনার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাতে না পারে।
** নিয়মিত গ্রুপে লাইভে এসে কাস্টোমারদের সাথে কথা বলুন।
বর্তমানে ফেসবুক মার্কেটিং এর ফ্রি মেথডের মধ্যে অন্যতম একটি উপায় হল ফেসবুক গ্রুপ। একটু বুদ্ধি এবং প্ল্যানিং নিয়ে কাজ করতে পারলে একটি গ্রুপ দিয়েই আপনি খুব দ্রুত ব্যবসা সফল হয়ে উঠতে পারেন। তাহলে আর দেরী কেন? আজই আপনার উদ্যোগের একটি গ্রুপ খুলে ফেলুন এবং কাস্টোমারদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করুন।