ফাইবার সম্পর্কে আমরা ইতিমধ্যে অনেক কিছুই জেনেছি। আপনি স্কিল গেদার করে ফাইবারে একাউন্ট এবং গিগ আপলোড দিচ্ছেন। কিন্তু আশানুরূপ সাড়া পাচ্ছেন না। অথবা, আপনি ফাইবার মার্কেটপ্লেসে প্রচুর সময় দিচ্ছেন কিন্তু যেমন কাজ পাওয়ার কথা তেমন কাজ পাচ্ছেন না। যার জন্য হতাশ হয়ে পড়ছেন। না, হতাশ হওয়া যাবে না আপনাকে জানতে হবে কেন কাজ কম পাচ্ছেন।
আমাদের অডিয়েন্সদের চাহিদা মতো, আমাদের আজকে আলোচনা করবো আপনি কিভাবে ফাইবার থেকে বেশি কাজ পেতে পারেন সে বিষয়ে। তাই, আমাদের সঙ্গেই থাকুন এবং পুরো আর্টিকেলটি পড়ুন .
ফাইবার থেকে বেশি কাজ পাওয়ার গোপন টিপস
প্রথমেই বলবো গিগ সম্পর্কে।
গিগ কি ?
আপনারা যারা ফাইবারে কাজ করছেন তারা কম বেশি সবাই গিগ সম্পর্কে জানেন। ফাইবারে কাজ পাওয়ার জন্য গিগ থাকাটা আবশ্যক। তবে শুধু গিগ থাকলেই হবে না ফাইবারে কাজ পাওয়ার জন্য প্রয়োজন আপনার স্কিল রিলেটেড সুন্দর করে সাজানো একটি গিগ। কারণ আপনার গিগের প্রটফোলিও দেখেই ক্লায়েন্ট আপনাকে কাজের অর্ডার করবে।
তাহলে এইবার আসুন জেনে নেই একটি গিগ তৈরী করতে আপনাকে কি কি বিষয়ের উপর খেয়াল রাখতে হবে।
প্রথমত, গিগ তৈরির জন্য আপনি যে বিষয়ে এক্সপার্ট হিসাবে কাজ করতে চাচ্ছেন সে বিষয়ের অন্যদের গিগ দেখে কিছুটা আইডিয়া নিতে হবে। তবে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যে কারো গিগ কপি করা যাবে না। এতে ক্লায়েন্ট আপনার প্রতি একটি নেগেটিভ ধারণা পাবে যা আপনার জন্য খুবই ক্ষতিকর।
গিগ তৈরি করার সময় কোনো ভাবেই তাড়াহুরু করা যাবে না। ২/১ দিন সময় নিয়ে গিগ টি ভালো ভাবে তৈরী করে আপনার প্রোফাইলে গিগটি আপলোড দিন।
আপনি যদি গিগে কোনো ইমেজ ব্যবহার করতে চান তাহলে অবশ্যই ইমেজের কোয়ালিটি ভালো হতে হবে এবং ইমেজ খুবই আকর্ষণীয় হতে হবে। যাতে ক্লাইন্ট আপনার ইমেজ দেখেও আপনাকে কাজ দিতে আগ্রহ প্রকাশ করে। আর যদি গিগে ভিডিও আপলোড করেন তাহলে অবশ্যই ভিডিও টি যাতে লং না হয় সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।
গিগ তৈরির সময় ডিস্ক্রিপশনটি খুবই সুন্দর ভাবে লিখতে হবে। ডিস্ক্রিপশনটি যাতে ইউনিক হয় এবং আপনার সকল প্রটফোলিও এড করা থাকে সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।
আপনি যদি এক্সপার্ট হয়ে থাকেন তাহলে আপনি গিগ পাবলিশ করার পর গিগের seo করতে পারেন। আর আপনি যদি নতুন ফ্রীল্যান্সার হয়ে থাকেন তাহলে আপনার কাজের জন্য বেশি এমাউন্ট চার্জ করা তা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। তাই যতটা সম্ভব চার্জ কম রাখতে হবে।
গিগ আপলোড করার পর যদি গিগ রেঙ্ক না করে তাহলে গিগ এডিট করবেন না। প্রয়োজনে গিগটি ডিলিট করে পুনরায় আবার আপলোড দিবেন। কারণ আপলোড করা গিগ এডিট করলে গিগের রাঙ্ক কমে যায়।
গিগ আপলোড দেয়ার পর বায়ার রিকোয়েস্ট চেক করুন। চেষ্টা করতে থাকুন, ফাইবারে সময় দিন, পরিশ্রম করুন দেখবেন আপনি আপনার গোল এচিভ করতে পারছেন।
আজকের পর্বের আলোচনার মাধ্যমে আমরা ফাইবার থেকে কাজ পাওয়ার বিষয় নিয়ে আপনাদের কিছু টিপস দিলাম। আমাদের টিপস অনুযায়ী কাজ করুন এবং কেমন ফিডব্যাক পাচ্ছেন তা আমাদের কমেন্ট করে জানান।
ফাইবার সম্পর্কে আরো জানুন: