আগের পর্ব গুলোতে আমরা ফাইভার সম্পর্কে অনেক তথ্য জেনেছি। ফাইভার হলো একটি খুবই জনপ্রিয় ফ্রীল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস। যে কোনো নতুন ফ্রীল্যান্সার ই তাদের ফ্রীল্যান্সিং ক্যারিয়ার ফাইভার মাধ্যমে শুরু করে থাকে।
তবে আমরা অনেকেই জানি না ফাইবারের প্রতিদিনের কিছু অনুশীলন আছে যা আপনাকে কাজ পেতে সাহায্য করবে।
ফাইবারে কি শুধু গিগ তৈরী করে অনলাইনে থাকলেই কাজ পাওয়া যায় ? না বন্ধুরা, ফাইবারে কাজ পেতে হলে আপনাকে রেগুলার একটি রুটিন ফলো করতে হবে। আজকের পর্বে আমরা সে বিষয়েই আলোচনা করবো।
ফাইবারের প্রতিদিনের অনুশীলন যা আপনাকে কাজ পেতে সাহায্য করবে
অনুশীলন করতে হবে:
আপনি যে কাজে বেশি এক্সপার্ট সেই কাজটি আপনাকে প্রতিদিন প্র্যাক্টিসে করতে হবে। আপনার কাজে কোনো প্রকার ভুলত্রুটি থাকলে তা প্র্যাক্টিস এর মাধ্যমে ঠিক করে নিন। যাতে ক্লায়েন্টের কাজ করার সময় কোনো প্রকার বাধার সম্মুখীন হতে না হয় এবং আপনি ক্লায়েন্টের কাজটি সময় মতো সাবমিট করতে পারেন।
গিগ তৈরি করুন:
ফাইবারে কাজ পেতে হলে আপনাকে প্রপার ভাবে একটি গিগ তৈরী করতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যাতে আপনার গিগটি ইউনিক এবং সহজ ভাষায় হয়। যাতে ক্লাইন্ট সহজে আপনার স্কিল সম্পর্কে জানতে এবং বুঝতে পারে।
গিগ সম্পর্কিত ছবি দিতে হবে:
গিগ তৈরি করার পর একটি অপসন থাকে যেখানে আপনি আপনার কাজের স্কিল রিলেটেড ছবি আপলোড করতে হয়। সেখানে আপনি আপনার প্রতিফলিও সম্পর্কিত ছবি ও বেবহার করতে পারেন।
গিগ কাভার ফটো তৈরি:
গিগ তৈরির পর আপনার গিগের জন্য একটি কাভার ইমেজ ও প্রয়োজন হয়। এই ক্ষেত্রে অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে আপনার কাভার ইমেজটি যাতে ইউনিক হয়। আপনি কাভার ইমেজে আপনার ছবি ও ব্যবহার করতে পারবেন। তবে মনে রাখতে হবে গিগ এর কাভার ইমেজটি যাতে স্পষ্ট হয়। যাতে ক্লাইন্ট আপনার কভার ইমেজ দেখেই আপনার স্কিল সম্পর্কে জানতে পারে।
গিগ ডেসক্রিপশন লিখতে হবে:
গিগ তৈরী সময় গিগের জন্য একটি ডিস্ক্রিপশন প্রয়োজন হয়। আপনাকে গিগ ডিস্ক্রিপশন কোনো প্রকার বানা ভুল ব্যতীত স্পষ্ট ভাবে লিখতে হবে।
ট্যাগ, কি–ওয়ার্ড এর দিকে নজর দিবেন:
অনেকেই নতুন গিগ দেয়ার ক্ষেত্রে তাদের গিগের জন্য কোনো প্রকার ট্যাগ বা কীওয়ার্ড ব্যবহার করে না। অথবা কীওয়ার্ড ব্যবহার করলেও তা রিসার্চ করে না। যা একটি ভুল সিদ্ধান্ত। কীওয়ার্ড এবং ট্যাগ এর জন্য ও আপনার গিগ টি রেঙ্ক করতে পারে। এবং গিগি রেঙ্ক করার ফলে আপনি কাজ ও বেশি পেতে পারেন।
ভিডিও ব্যবহার করুন :
ফাইবার ও তাদের নিউ ফ্রীল্যান্সারদের গিগের জন্য ভিডিও ব্যবহার করতে বলে। কারণ যেসব গিগে ইমেজ ব্যবহার করা হয়েছে এসব গিগের তুলনায় যেসব গিগে ভিডিও ব্যবহার করা হয়েছে সেসব গিগে সেল বেশি হয়। তাই একটু সময় নিয়ে গিগ তৈরী করুন এবং গিগে ভিডিও ব্যবহারের চেষ্টা করুন।
আপনি সময় দিন কাজে মনোযোগ দিন তাহলে অবশই ফাইবার থেকে বেশি কাজ পেয়ে যাবেন।
আপনার জন্য আরো: