একটি ভালো মানের ওয়ার্ডপ্রেস থিম আপনার অনেক সময় বাঁচাতে পারে। কেননা আপনি যদি একটি ভালো মানের ওয়ার্ডপ্রেস থিম কিনে নেন তাহলে আপনি কোন ধরনের কোডিং না জেনেও খুব সহজেই একটি ওয়েবসাইট নিজে থেকেই তৈরি করে নিতে পারবেন।
আজকে আমরা তেমনই কিছু অসাধারণ ওয়ার্ডপ্রেস থিম নিয়ে আলোচনা করব যেগুলোর মাধ্যমে আপনি বেশ প্রফেশনাল মানের একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে নিতে পারবেন। আর এই ধরনের ওয়ার্ডপ্রেস থিম কেনা বেচার জন্য সবচাইতে বহুল জনপ্রিয় একটি মার্কেটপ্লেস হল থিমফরেস্ট (ThemeForest)।
আজকের এই আর্টিকেলে আপনারা আরো জানতে পারবেন যে ঠিক কিভাবে থিমফরেস্ট থেকে ওয়ার্ডপ্রেস থিম খুঁজে বের করতে হয়। এছাড়া আমরা আপনাকে আরো জানাবো যে, কোন কোন ওয়ার্ডপ্রেস থিম গুলো কিনলে আপনি সবচাইতে বেশি লাভবান হবেন।
AliExpress.com Product – Man Watch 2019 USB Charge Windproof Electronic Flameless Lighter Watches Men’s Quartz Watches erkek kol saat horloge herenসঠিক ওয়ার্ডপ্রেস থিম কেনার জন্য প্রয়োজনীয় পূর্ণ গাইডলাইন
একটি ওয়েবসাইট তৈরি করার ক্ষেত্রে আপনি কোন ওয়ার্ডপ্রেস থিম পছন্দ করছেন সেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, সাধারণত একটি থিমের উপর কেবলমাত্র ওয়েবসাইটের ডিজাইনই নির্ভর করে না বরং ওয়েবসাইটের যাবতীয় ফাংশনগুলোও থিমের উপর নির্ভরশীল।
আর তাই যখন আপনি কোন ওয়ার্ডপ্রেস থিম কিনতে যাবেন, হুট করেই ঝোঁকের বশে কিনে ফেলবেন না বরং আপনি কোন ধরনের ওয়েবসাইট তৈরি করতে চাচ্ছেন আর তার সাথে থিমটি ম্যাচ করছে কি না সেটাও দেখার বিষয়। আর এই থিমফরেস্ট নামক মার্কেটপ্লেসের মধ্যেই আপনি সব ধরনের ওয়ার্ডপ্রেস থিম খুঁজে পেয়ে যাবেন।
আমাদের এই পুরো আর্টিকেলটি একটু ধৈর্য সহকারে পড়ুন, আশাকরি ওয়ার্ডপ্রেস থিম কেনার জন্য আপনাকে আর অন্য কিছু জানতে হবে না। থিমফরেস্ট নামক মার্কেটপ্লেসে থিম কেনা সম্পর্কে সবকিছুই আপনি এখানে জানতে পারবেন।
আসুন শুরুতেই থিমফরেস্ট সম্পর্কে জেনে নেই
আপনি যে মার্কেটপ্লেস থেকে একটি পণ্য ক্রয় করতে যাচ্ছেন, সেই মার্কেট প্লেস সম্পর্কে তো আপনাকে একটু জেনে নিতেই হবে, তাই না? থিমফরেস্ট (ThemeForest)নামক এই মার্কেটপ্লেসটি ২০০৮ সালে লঞ্চ করা হয়েছিল। আর ধীরে ধীরে নিজেদের ভালো সার্ভিসের মাধ্যমে বর্তমানে ঠিক কেনা বেচার জন্য সবচাইতে জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেসে পরিণত হয়েছে। থিমফরেস্ট ওয়েবসাইটটি “ইভান্টো মার্কেট” এর একটি অঙ্গ সংস্থা।
AliExpress.com Product – CHRONOS Women Luxury Rhinestone Stainless Steel Quartz Watches Ladies Business Watch Japanese Quartz Movement Relogio Femininoবর্তমানে শুধুমাত্র এই মার্কেটপ্লেসে থিম কেনার জন্যই মানুষ যায় তা নয় বরং অনেক থিম ডেভেলপারই নিজের তৈরি করা থিমটি সেখানে আপলোড করে বেশ ভালো পরিমাণ অর্থ উপার্জন করছেন। তবে ভয়ের কিছু নেই, কেননা যে কোন থিম সেখানে বিক্রয়ের জন্য আপলোড করা হলে প্রথমেই থিমফরেস্ট সেই থিমটির গুণগত মান পরীক্ষা করে নেয়।
থিমফরেস্ট মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে তো তাহলে জানতে পারলেন। এবার জেনে নিন কীভাবে এখান থেকে একটি ওয়ার্ডপ্রেস থিম খুঁজে বের করে কিনতে হয়।
থিমফরেস্টে কিভাবে ওয়ার্ডপ্রেস থিম খুঁজে বের করবেন ?
হাজার হাজার থিম দিয়ে ভর্তি এই মার্কেটপ্লেসে থিম খুঁজে নিজের পছন্দ ও প্রয়োজন অনুযায়ী থিম কেনাটা আদতে বেশ কঠিনই হওয়ার কথা ছিল। এমনকি আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই বলছি, একদম প্রথম দিকে যখন তেমন কিছু একটা বুঝতাম না তখন বিভিন্ন ওয়ার্ডপ্রেস থিম খুঁজে বের করতে যেয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পার করে দিয়েছি। এমনকি মাঝেমধ্যে কয়েকদিন ধরে খোঁজার পরও নিজের পছন্দের ওয়ার্ডপ্রেস থিম খুঁজে পাইনি।
তবে এখন আপনাকে অতটা কষ্ট করতে হবে না। কেননা থিমফরেস্টে বেশ কিছু ফিচার এবং টুল আছে যার মাধ্যমে খুব সহজেই আপনি আপনার প্রয়োজনীয় ওয়ার্ডপ্রেস থিম খুঁজে বের করতে পারবেন।
প্রথমেই থিমফরেস্টের সার্চ অপশনের কথা বলতে হয়। আপনি নির্দিষ্ট যে কোন কিওয়ার্ড দিয়ে প্রথমেই থিমফরেস্টে সার্চ দিতে পারবেন। এছাড়া থিম ফরেস্টে প্রায় ১৪টি জনপ্রিয় ক্যাটাগরিতে বিভিন্ন থিম থাকে যেমন ব্লগিং থিম, ই-কমার্স থিম, কর্পোরেট থিম ইত্যাদি। এই ধরনের ক্যাটাগরি অনুযায়ী যখন আপনি খুব সহজেই নিজের পছন্দের ওয়ার্ডপ্রেস থিম খুঁজে বের করতে পারবেন।
বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুনঃ
নিজেই নিজের ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট কিভাবে ইন্সটল করবেন ?
যখন আপনি আপনার কিওয়ার্ড দিয়ে প্রাথমিক সার্চ দিবেন অথবা আপনার পছন্দের ক্যাটাগরিটি সিলেক্ট করে নিবেন তখন থিমফরেস্ট আপনাকে একটি লম্বা লিস্ট দেখাবে। তবে এই লম্বা লিস্ট দেখেই ভয় পেয়ে যাবেন না, কেননা এই লিস্টকে আরো ছোট করে ফেলার অপশন আপনি থিমফরেস্টে খুঁজে পাবেন। আর সেই লিস্টটি আরো ছোট করে ফেলতে পারবেন আপনি নিচের পাঁচটি ক্যাটাগরি অনুযায়ীঃ
১। বেস্ট সেলার
২। নতুন থিম
৩। সবচাইতে বেশি রেটিং প্রাপ্ত থিম
৪। বর্তমানে জনপ্রিয় থিম
৫। মূল্যের দিক থেকে কম দামি অথবা বেশি দামি থিম
এইভাবে ফিলটার করার পরে দেখবেন আপনার লিস্টটি বেশ খানিকটা ছোট হয়ে এসেছে। তবে এই লিস্টকে আরো ছোট করে ফেলার জন্য থিমফরেস্ট খুব সহজ একটি ফিল্টারিং অপশন দিচ্ছে আপনাকে। এই অপশনগুলোর মাধ্যমে আপনি এই লিস্টটি আরো ছোট করে ফেলতে পারবেন। যে ফিল্টারিং সিস্টেমের আপনি লিস্টটি আরো ছোট করে ফেলতে পারবেন সেগুলো নিম্নরূপঃ
>ক্যাটাগরি অনুযায়ী ফিল্টারিং
>ট্যাগ অনুযায়ী
>দাম অনুযায়ী
>বিক্রয়ের সংখ্যা অনুযায়ী
>ক্রেতাদের থেকে প্রাপ্ত রেটিং অনুযায়ী
>তারিখ অনুযায়ী ফিলটার
>সফটওয়্যার ভার্শন অনুযায়ী (যে থিমগুলো ওয়ার্ডপ্রেসের না সেগুলোর জন্য এটি প্রযোজ্য)
>সামঞ্জস্য কি না তার উপর ফিল্টারিং (উদাহরণ স্বরূপ বলা যেতে পারে থিমটি ই-কমার্সের সাথে সামঞ্জস্য কি না সেটা ফিলটার করে ফেলতে পারবেন)
নিজের পছন্দ এবং প্রয়োজন অনুসারে ফিল্টার করার পরে যে থিমগুলো থাকবে সেগুলো থেকে আশাকরি খুব সহজেই আপনি নিজের প্রয়োজন অনুসারে একটি থিম বাছাই করে ফেলতে পারবেন।
তবে আপনার হাতে যদি পর্যাপ্ত পরিমাণ সময় না থাকে অথবা আপনার এত ফিল্টার করে করে থিম বাছাই করতে ইচ্ছে না করে তাহলেও আপনার জন্য একটি অপশন খোলা থাকছে। আর সেটি হল থিমফরেস্টের “বেস্ট সেলার পেজ”।
অথবা কোন থিম ডেভেলপারকে যদি আপনার পছন্দ হয়ে যায় তাহলে তার প্রোফাইলে যেয়ে সেই ডেভেলপারের সবচাইতে বেশি বিক্রয় হওয়া থিমগুলোর মধ্যে যে কোন একটি থিম সানন্দে বাছাই করে নিতে পারবেন। যে কোন একজন ডেভেলপারের সবগুলো থিম দেখতে হল রাইট সাইডবারে তার লিংকে ক্লিক করে দেখতে পারবেন।
এবার জেনে নেই, কীভাবে একটি থিম পছন্দ করতে হয় ?
আপনি যে ধরনের থিম ব্যবহার করতে চান সেই থিমগুলো ক্যাটাগরি অনুযায়ী ফিল্টার করার পরেও থিমগুলো সম্পর্কে একটু বিস্তারিত জেনে নিতে হবে আপনাকে। এখন আমরা সেই বিষয়েই কথা বলব। একটি থিম পছন্দ করার সময় কোন কোন জিনিসের দিকে আপনাকে কড়া নজর রাখতে হবে, সেগুলো সম্পর্কে আসুন জেনে নেই –
থিমের ডেমো সাইটটি দেখে নিন
থিমফরেস্টের সবগুলো থিমের ক্ষেত্রেই সেই থিম একটি ওয়েবসাইটে ইন্সটল করলে কেমন দেখাবে তা দেখতে পারবেন। লাইভ প্রিভিউ নামক এই টুলটির মাধ্যমে আপনি একটি ওয়েবসাইটে থিমটি ইন্সটল করার পর কেমন লাগতে পারে, কি কি ফিচার থাকতে পারে অথবা ওয়েবসাইটে থিমটি কীভাবে কাজ করে সেগুলো বিস্তারিত দেখে নিতে পারবেন।
এছাড়া এই লাইভ প্রিভিউ টুলের মধ্যে আপনি আরো কিছু সেটিং পরিবর্তন করে নিজের পছন্দ হচ্ছে কি না সেটা খুব ভালো ভাবে দেখে নিতে পারবেন। যেমনঃ থিমের রঙ, ভিন্ন ভিন্ন স্টাইল এবং ব্যাকগ্রাউন্ড পরিবর্তন করে আপনি দেখে নিতে পারবেন যে এগুলো পরিবর্তন করার পর থিমটি আপনার পছন্দ হচ্ছে কি না। এই পরিবর্তন করার সিস্টেম টুলটিকে এক অনন্য পর্যায়ে নিয়ে গেছে। কেননা এর মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই দেখে নিতে পারছেন যে আপনার ব্রান্ডিং কালারের সাথে থিমটি আদৌ যাচ্ছে কি না।
এখানে থিম পছন্দ করার ক্ষেত্রে আপনাকে লাইভ প্রিভিউয়ের সময় থিমে ব্যবহৃত নান্দনিক ছবিগুলোর থেকে থিমের কার্যকারিতা সম্পর্কে একটু বেশি মনোযোগী হতে হবে। কেননা এখানে যে ছবিগুলো ব্যবহার হয় সেগুলো দেখতে খুবই সুন্দর এবং যে কোন থিমই এই ছবিগুলোর কারণে দেখতে অনেক সুন্দর লাগে।
অথচ বাস্তবিক ক্ষেত্রে আপনি কিন্তু একই ছবি ব্যবহার করবেন না বরং আপনি আপনার নিজস্ব ছবি ব্যবহার করবেন। তাই এই ছবিগুলোর নান্দনিকতার দিকে আপনার অতটা মনোযোগ না দিলেও চলবে।
এছাড়াও বেশীরভাগ সময় থিমের বিস্তারিত বিবরণের মধ্যে ডেভেলপার লিখে দেন যে ডেমোতে ব্যবহৃত ছবিগুলো কি আপনি আদৌ ব্যবহার করতে পারবেন কি না।
থিমের ডেমো মোবাইল ভার্সন
আবার আপনি যখন একটি থিমের ডেমো সাইট দেখবেন তখন সেই সাইটটির মোবাইল ভার্শন দেখতে কেমন সেটাও চেক করে নিবেন। এটা আপনি নিজের মোবাইলে লিংকটি ওপেন করে দেখতে পারবেন অথবা গুগুল ক্রমের ডেভেলপার টুলের মধ্যে মোবাইল ভার্শন চেক করার অপশন থেকে সাইটের মোবাইল ভার্শন সম্পর্কে দেখে নিতে পারেন।
যে কোন ওয়েবসাইটের জন্য সেটার মোবাইল ভার্শন খুবই জরুরী। কেননা বর্তমান স্মার্টফোনের যুগে বেশীরভাগ ইউজার অর্থাৎ ভিজিটররাই মোবাইল ব্যবহার করে থাকেন। আর তাই থিমটির মোবাইল ভার্শনটিও যাতে খুব চমৎকার দেখায় সেদিকেও বাড়তি নজর রাখবেন।
যদিও বর্তমানে বেশীরভাগ ওয়ার্ডপ্রেস থিমই রিসপনসিভ হয়ে থাকে, তারপরেও মোবাইলে দেখতে কেমন লাগে এবং আদৌ এই থিমের মোবাইল ভার্শনটি পিসি ভার্শনের মত ইউজার ফ্রেন্ডলি কি না সেটাও একবার চেক করে নেয়া উচিৎ।
থিম ক্রয়ের সময় সাইডবারের দিকেও রাখতে হবে বাড়তি মনোযোগ
থিমফরেস্টের মধ্যে যে কোন থিমের পেজে চলে গেলে সেই পেজের সাইডবারের দিকে এক নজর তাকালেই আপনি থিমটি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে পারবেন। এই তথ্যগুলো আপনাকে নিজের সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে সাহায্য করবে। আসুন জেনে নেই সেই সাইডবারে কি ধরনের তথ্য থাকে-
বিক্রয়ের সংখ্যাঃ
যখন কোন থিমের ক্ষেত্রে দেখবেন সেটা অনেকবার বিক্রয় হয়েছে। তাহলে স্বাভাবিক ভাবেই আপনাকে বুঝে নিতে হবে এই থিমটি বেশ ভালো একটি থিম এবং এর ডেভেলপার থিমটি নিয়মিত আপডেট করেন। তা না হলে এত মানুষ থিমটি ক্রয় করত না।
ক্রেতাদের রেটিংঃ
রেটিংয়ের দিকেও আপনি একটু লক্ষ্য করলে দেখবেন ভালো ভালো থিমগুলোর রেটিং ও অনেক ভালো। আর তাই থিম ক্রয় করার সময় তার সার্বিক রেটিংয়ের দিকেও আপনাকে রাখতে হবে বাড়তি নজর।
সর্বশেষ কবে আপডেট হয়েছেঃ
ওয়ার্ডপ্রেস থিম প্রতিনিয়তই ওয়ার্ডপ্রেসের নতুন ভার্শনের সাথে সামঞ্জস্যতা রেখে আপডেট করতে হয়। তা না হলে থিমের মধ্যে অনেক ক্রুটি দেখা যায় এবং ওয়েবসাইটের নিরাপত্তাও হুমকির মুখে পরে। এজন্য যখন কোন থিম কিনতে যাবেন আপনাকে দেখে নিতে হবে এটা প্রতিনিয়ত আপডেট হচ্ছে কি না।
যখন দেখবেন একটি থিম প্রায় এক মাস আগে আপডেট হয়েছে এবং পরবর্তীতে আর আপডেট করা হচ্ছে না তাহলে থিমটি ক্রয় করা থেকে বিরত থাকুন। কেননা থিমটি আগে ভালো পারফর্ম করলেও এখন যেহেতু আর আপডেট করা হচ্ছে না তাই ভবিষ্যতে এই থিমটি আর আগের মত ভালো পারফর্ম করবে না।
ওয়ার্ডপ্রেস থিম প্রতিনিয়তই ওয়ার্ডপ্রেসের নতুন ভার্শনের সাথে সামঞ্জস্যতা রেখে আপডেট করতে হয়। তা না হলে থিমের মধ্যে অনেক ক্রুটি দেখা যায় এবং ওয়েবসাইটের নিরাপত্তাও হুমকির মুখে পরে। এজন্য যখন কোন থিম কিনতে যাবেন আপনাকে দেখে নিতে হবে এটা প্রতিনিয়ত আপডেট হচ্ছে কি না।
যখন দেখবেন একটি থিম প্রায় এক মাস আগে আপডেট হয়েছে এবং পরবর্তীতে আর আপডেট করা হচ্ছে না তাহলে থিমটি ক্রয় করা থেকে বিরত থাকুন। কেননা থিমটি আগে ভালো পারফর্ম করলেও এখন যেহেতু আর আপডেট করা হচ্ছে না তাই ভবিষ্যতে এই থিমটি আর আগের মত ভালো পারফর্ম করবে না।
ব্যবহারকারীদের মন্তব্যঃ
যদিও এটা খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ না তবুও থিমের কমেন্ট সেকশনে একটু নজর বুলিয়ে দেখুন যে অন্যান্য ব্যবহারকারীরা এই থিমটি সম্পর্কে ঠিক কি কি বলছেন। এছাড়া এই কমেন্ট সেকশন ঘুরে দেখে আসলে আপনি আরেকটি বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন যে, এই থিমের ডেভেলপার কি ব্যবহারকারীদের সুবিধা অসুবিধা সম্পর্কে জেনে থিমটি নিয়মিত আপডেট করছেন কি না।
ডেসক্রিপশন পড়ে নিন
থিমের পেজের মধ্যে থিম সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ দেয়া থাকে। এই সেকশনের মধ্যে থিমটির ডেভেলপার থিমটির কার্যকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ দিয়ে থাকেন। এছাড়া থিমটির সাথে আপনি কোন কিছু বোনাস হিসেবে পাচ্ছেন কি না সেটাও এই ডেসক্রিপশনে লেখা থাকে। কেননা কোন কোন ডেভেলপার থিমের সাথে চমৎকার চমৎকার কিছু প্লাগইন ফ্রি দিয়ে থাকেন। যেগুলো যদি আপনাকে কিনে ব্যবহার করতে হয় তাহলে হয়ত প্রায় শ খানেক ডলারের উপরে গুনতে হবে।
এছাড়া এই ডেসক্রিপশন পেজে আপনি অন্যান্য তথ্যও খুঁজে পাবেন। যেমনঃ এই থিমটি ওয়ার্ডপ্রেসের বিভিন্ন প্লাগিনের সাথে সামঞ্জস্য কি না এবং থিমে ব্যবহৃত ছবিগুলো আপনি চাইলেই ব্যবহার করতে পারবেন কি না ইত্যাদি।
ডেভেলপারের সহযোগিতা কতদিন ফ্রি পাচ্ছেন সেটাও দেখে নিন
অনেকে হয়ত ভাবতে পারেন যে, “আমি তো ওয়ার্ডপ্রেস ভালোভাবেই পারি, তাহলে আমার কেন ডেভেলপারের সাপোর্ট লাগবে?”
তবে আপনি যাই ভাবুন না কেন, মাঝেমধ্যে এমন কিছু পরিস্থিতিতে পড়তে পারেন যেখানে ডেভেলপারের সাপোর্ট আপনার লাগবেই। আর এই ধরনের পরিস্থিতিতে টাকা খরচ করা ছাড়া শুধুমাত্র সেই থিমের ডেভেলপারই আপনাকে সবচেয়ে ভালো সাপোর্ট দিতে পারবে।
বর্তমান সময়ে প্রায় সব থিমেই ছয় মাসের ফ্রি সাপোর্ট থাকে। আর আপনি সামান্য কিছু অতিরিক্ত খরচ করলেই এই ছয় মাসকে বাড়িয়ে এক বছর পর্যন্ত সাপোর্ট নিয়ে যেতে পারবেন।
এই ফ্রি সাপোর্টের সময়টুকুতে আপনার থিম সেটআপ সম্পৃক্ত যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর থিম ডেভেলপার আপনাকে দিয়ে দিবেন। অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাবলি আপনি এই সময়ে জেনে নিতে পারলেও একটা ব্যাপার জেনে রাখুন, ডেভেলপার আপনাকে কখনই থিম ইন্সটল করে দিবেন না। সেটা আপনাকেই করতে হবে, ডেভেলপার শুধুমাত্র বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাবলি দিয়ে আপনাকে সর্বচ্চ সহযোগিতা করবেন।
কোন কোন ডেভেলপার থিমফরেস্টের ওয়েবসাইটেই কমেন্ট সেকশনে সাপোর্ট দিয়ে থাকেন। আবার কোন ডেভেলপারদের নিজস্ব ওয়েবসাইটে সবাইকে এই সাপোর্ট দেন।
সর্বোচ্চ বিক্রয় হওয়া ওয়ার্ডপ্রেস থিম
যদি আপনি কখনো থিম ক্রয়ের ক্ষেত্রে কোন কনফিউশনে ভুগে থাকেন তাহলে আমি সাজেস্ট করব থিমফরেস্টের সর্বচ্চ বিক্রয় হওয়া থিমগুলো দেখুন এবং সেখান থেকে একটি পছন্দ করে কিনে নিন। কেননা একটি থিম সর্বোচ্চ বিক্রয় হয়েছে তার মানে অবশ্যই সেটার মধ্যে ভালো কিছু আছে এবং ব্যবহার করে ইউজাররা খুবই সন্তুষ্ট।
এই থিমগুলো আপনি কোন ধরনের চিন্তা ছাড়াই কিনে নিতে পারেন, কেননা একেকটি থিম যেহেতু হাজার হাজার বার বিক্রয় হয়েছে সেহেতু এই থিমগুলো আদতেই বেশ মান সম্পন্ন থিম।
এছাড়া সর্বাধিক বিক্রয় হওয়া থিমগুলোর ডেভেলপাররা যে থিমটি নিয়মিত আপডেট করবেন এবং নিত্য নতুন ফিচার যোগ করতে থাকবেন সে কথা আর বলাই বাহুল্য। কেননা, ডেভেলপার এই থিমটি থেকে প্রচুর পরিমাণ অর্থ উপার্জন করছেন, আর তাই এটি নিয়মিত আপডেট তিনি অবশ্যই করবেন যাতে করে থিমটি আরো অনেক বেশি বিক্রয় হয়।
আর সর্বাধিক বিক্রয় হওয়া থিমগুলোর আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলঃ
এই থিমগুলো আপনি যে কোন ধরনের কাজেই ব্যবহার করতে পারবেন। ব্যবহারের এমন বৈচিত্র্য আছে বলেই এই থিমগুলো সবচাইতে বেশি বিক্রয় হয়েছে। এই থিমগুলোর মধ্যে থিম কাস্টোমাইজ অর্থাৎ থিমটি নিজের মত করে সাজিয়ে নেয়ার অনেক ধরনের অপশন রয়েছে, যার মাধ্যমে আপনি আপনার নিজের সুবিধা অনুসারে থিমটি সাজিয়ে গুছিয়ে নিতে পারবেন।
আর এই সাজানো গুছানোর অপশনগুলোও সর্বাধিক ব্যবহৃত হওয়া থিমগুলোর মধ্যে একদমই সহজ করে দেয়া আছে। শুধু মাত্র মাউস ক্লিকের মাধ্যমেই আপনি এই থিমগুলো খুব সুন্দর করে সাজিয়ে নিতে পারবেন। আর তাই অনেকেই বলে থাকেন যে, এই ধরনের সর্বাধিক বিক্রয় হওয়া থিমগুলো আপনিও যে কোন নিশ অথবা যে কোন ধরনের ওয়েবসাইটেই ব্যবহার করতে পারবেন।
আর তাই এই ধরনের থিমগুলো ফ্রিল্যান্সাররা অনেক বেশি কিনে থাকেন,কেননা ক্লায়েন্টের রিকয়ারমেন্ট অনুসারে তারা খুব সহজেই থিমগুলো সাজিয়ে নিতে পারেন।
আপনাদের সুবিধার্থে আমরা থিমফরেস্টের সর্বাধিক বিক্রিত কয়েকটি ওয়ার্ডপ্রেস থিম সম্পর্কে বিস্তারিত জানাব। উল্লেখ্য যে এই থিমগুলোর ডেভেলপাররা এই থিমগুলো বিক্রয় করে প্রায় মিলিয়ন ডলার থেকেও বেশি অর্থ উপার্জন করে ফেলেছেনঃ
AVADA ( সাড়ে পাঁচ লক্ষবার বিক্রয় হয়েছে এই থিমটি)
মূল্যঃ ৬০ ডলার । লাইভ ডেমো | পূর্ণ বিবরণ
থিমটি তৈরি করেছেঃ থিমফিউশন
X THEME (এই থিমটি প্রায় দুই লাখ বার বিক্রয় হয়েছে)
মূল্যঃ ৫৯ ডলার । লাইভ ডেমো | পূর্ণ বিবরণ
থিমটি তৈরি করেছেঃ থিমকো
ENFOLD (এই থিমটি প্রায় এক লক্ষ চুরানব্বই হাজার বার বিক্রয় হয়েছে)
মূল্যঃ ৬০ ডলার । লাইভ ডেমো | পূর্ণ বিবরণ
থিমটি তৈরি করেছেঃ ক্রিয়েসি
BETHEME (এই থিমটি বিক্রয় হয়েছে প্রায় ১৭৪,০০০ বারেরও বেশি)
মূল্যঃ ৫৯ ডলার । লাইভ ডেমো | পূর্ণ বিবরণ
থিমটি তৈরি করেছেঃ মাফিন গ্রুপ
JUPITER (এই থিমটি বিক্রয় হয়েছে প্রায় ১২৪,০০০ বার)
মূল্যঃ ৫৯ ডলার । লাইভ ডেমো | পূর্ণ বিবরণ
থিমটি তৈরি করেছেঃ আর্টবিস
থিমফরেস্টের কিছু দুর্বল দিক
যদিও বর্তমানে থিমফরেস্ট খুবই জনপ্রিয়তা লাভ করেছে এবং প্রচুর মানুষ প্রতিনিয়ত থিমফরেস্ট থেকে থিম কিনছেন। তবুও এই থিমফরেস্টেরও বেশ কিছু বাজে দিক রয়েছে, আর এখন আমরা তেমন কিছু দিক নিয়েই আলোচনা করব।
একদম প্রাথমিক বাজে দিকটি হল কোয়ালিটি, হ্যাঁ! শুনতে একটু অদ্ভুত শুনালেও থিম ফরেস্টে প্রচুর চাকচিক্যে ভরপুর থিম রয়েছে যেগুলো মানের দিক থেকে বেশ নিম্ন মানের থিম। যদিও থিমফরেস্টে গুনগত মান ঠিক রাখার জন্য বেশ কিছু গাইডলাইন রয়েছে, তবুও সেগুলোর ফাঁক গলে প্রচুর থিম নিয়মিত আপলোড হয়ে আসছে।
দীর্ঘদিন ধরে বিক্রয় হওয়া বেশ কিছু ভালো ভালো থিম ছাড়া আপনি তেমন ভাবে থিমের গুনগত মান সম্পর্কে সুনিশ্চিত হতে পারবেন না। তবে এই ধরনের বাজে মানের থিম ক্রয় থেকে আপনি খুব সহজেই বেঁচে থাকতে পারবেন, যদি আমাদের দেয়া গাইডলাইনটি মেনে চলেন। অর্থাৎ কোন থিম ক্রয় করার আগে সেই থিমের রেটিং, কাস্টোমারদের কমেন্ট, সর্বশেষ কতদিন আগে আপডেট হয়েছে ইত্যাদি দেখে নিতে হবে।
থিম ফরেস্টের আরেকটি বাজে দিক হল, এখানকার বেশীরভাগ থিম ব্যবহারের সময়েই কন্টেন্ট এবং থিম লক-ইন হয়ে যায়। অর্থাৎ আপনি যখন কোন একটি থিম ব্যবহার করবেন এবং পরবর্তীতে সেই থিমটি পরিবর্তন করতে যাবেন, তখন থিমের সাথে সাথে আপনার ওয়েবসাইটের ডিজাইন এবং কন্টেন্টও সব এলোমেলো হয়ে যাবে।
কেননা, আপনি যখন একটি মাল্টি-পারপাস থিম কিনে নেন, তখন হাজারো অপশন পাবেন আপনার ওয়েবসাইটটি নিজের মনের মত করে সাজিয়ে নেয়ার। আর পরবর্তীতে যখনই আপনি নতুন কোন থিমে পরিবর্তন করতে যাবেন তখন সবকিছু এলোমেলো হয়ে যাবে। আপনার ওয়েবসাইটের সাজানো গুছানো কন্টেন্ট একদমই আলাদা হয়ে যাবে। কোন পেজ এবং পোষ্টের আকার আকৃতি কিছুই আর নতুন থিমের সাথে সামঞ্জস্য হবে না। আপনাকে পুনরায় সবকিছু আবার নতুন করে হাতে ধরে ধরে ঠিক করতে হবে।
থিমফরেস্টের থিমের টেকনিক্যাল সমস্যা
এই থিমগুলোর ডিজাইনের জন্য যে সর্ট কোডগুলো ব্যবহৃত হয়ে থাকে সেগুলো আরো পরিবর্তিত হতে থাকে যখন আপনি ডিজাইন নিজের মত করে সাজিয়ে নিবেন। আর পরবর্তীতে নতুন থিম ইন্সটল দিলে আগের সেই সর্টকোডগুলো নতুন থিমের সাথে আর সামঞ্জস্য হয়ে উঠে না। তবে থিম ডেভেলপার যদি চান তাহলে সেগুলোকে আলাদা করে প্লাগইন হিসেবে দিতে পারেন কিন্তু কোন ডেভেলপারই চায় না কেউ তাদের থিম থেকে পরিবর্তন করে অন্য কোন থিমে চলে যাক। আর গোলমালটা ঠিক এখান থেকেই পাকানো শুরু হয়।
থিমফরেস্টের আরো একটি খারাপ দিক রয়েছে, আর সেটি হল মাঝে মধ্যে কোন কোন ডেভেলপার একটি থিম তৈরি করে এবং হুট করেই সেই থিম থেকে বেশ ভালো পরিমাণের অর্থ উপার্জন করে ফেলেন। কিন্তু পরবর্তীতে তারা আর সেই থিমের ক্ষেত্রে সাপোর্ট দিয়ে যান না, সাপোর্ট না দিয়ে তারা অন্য কোন থিম ডেভেলপের দিকে চলে যান। মাঝখানে ভুগতে থাকেন সেই থিমের কাস্টোমাররা। কেননা থিম যদি নিয়মিত আপডেট না করা হয় তাহলে সেই থিমের নিরাপত্তা এবং পারফরম্যান্সের ক্ষেত্রে প্রচুর সমস্যা করে। এছাড়া ওয়ার্ডপ্রেসের নতুন ভার্শনের সাথেও থিমটির আর সামঞ্জস্যতা থাকে না।
আর তাই কোন ডেভেলপারের থিম কিনতে গেলে সেই থিমটি যতই জনপ্রিয় হোক না কেন, ডেভেলপার সম্পর্কে একটু জেনে নেয়াটা বেশ কাজে দেয়। আদতে ভবিষ্যতে কি হবে আর কে কি করবেন সেটা কেউই বলতে পারবে না, তবুও যতটুকু সম্ভব চেক করে নেয়াই ভালো। আর তাই দীর্ঘদিন ধরে যে থিমগুলো প্রচুর সেল হয়ে যাচ্ছে সেই থিমগুলো পছন্দ করলে পরবর্তীতে অনেক ধরনের বিড়ম্বনা থেকে বেঁচে থাকা যায়।
থিমফরেস্ট ছাড়া অন্য কোথা থেকে ভালো থিম কিনতে পারবেন ?
বর্তমানে আপনাকে যে শুধু থিমফরেস্ট থেকেই থিম কিনতে হবে ব্যাপারটা মোটেও এমন নয়। কেননা প্রতিনিয়তই নিত্য নতুন থিম বের হচ্ছে এবং তার সাথে সাথে বৃদ্ধি পাচ্ছে মার্কেটপ্লেসের সংখ্যা।
আর এই ধরনের বেশ কিছু মার্কেটপ্লেস আছে যেগুলো বেশ বড় এবং বহুল জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তেমনই কিছু থিম মার্কেটপ্লেস হলঃ টেমপ্লেট মনস্টার, মোজো থিমস, ক্রিয়েটিভ মার্কেট ইত্যাদি।
এগুলো ছাড়াও অনেক জনপ্রিয় থিম শপ রয়েছে যেগুলো বর্তমানে বহুল আলোচিত। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলঃ এলিগেন্ট থিমস, স্টুডিও প্রেস, থিমফি এবং থিমসেল। আমরা পরবর্তীতে এই ধরনের আরো কিছু জনপ্রিয় থিম মার্কেটপ্লেস নিয়ে আলোচনা করব।
এছাড়া আপনি যদি কোন ধরনের টাকা খরচ না করেই সাধারণ একটি থিম ব্যবহার করতে চান তাহলে ওয়ার্ডপ্রেস থিম রেপোসিটোরি থেকে বেশ উন্নত মানের ভালো ফ্রি থিম ব্যবহার করতে পারবেন। তবে মনে রাখতে হবে, যেহেতু ফ্রি থিম সেখানে বেশ সীমাবদ্ধতা থাকবে, আর সেই সীমাবদ্ধতাগুলো কাটিয়ে উঠতে হলে আপনাকে থিম কিনেই নিতে হবে।
পরিশেষে
এটা বলা যায় যে, আপনি যদি ভালো মানের একটি থিম কিনতে চান তাহলে থিমফরেস্টকে অপশন থেকে বাদ দেয়াটা একটু বোকামিই বলে মনে হবে। হ্যাঁ! যদিও থিমফরেস্টেরও বেশ কিছু বাজে দিক রয়েছে তবুও এটা বলা যেতে পারে সবকিছু ছাপিয়েও এই মার্কেটপ্লেস্টি নিজস্ব স্বকীয়তা বজায় রেখে লাখো ওয়েবসাইট মালিকদেরকে প্রতিনিয়তই সন্তুষ্ট করে যাচ্ছে।
আর তাই প্রায় ১২ হাজারেরও বেশি ইউনিক থিম সম্বলিত থিমফরেস্ট থেকে ঘুরে আসুন আর আমাদের গাইডলাইন অনুসরণ করে নিজের পছন্দ এবং প্রয়োজন অনুসারে একটি চমৎকার থিম কিনে ফেলুন।
লেখক পরিচিতিঃ
Digital Marketing Expert | SEO Expert | Digital Marketing Trainer |
PPC Expert | Social Media Specialist | Consultant