দিন দিন ড্রপ শিপিং ব্যবসা এবং ব্যবসায়ীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। পৃথিবীর অন্যান্য উন্নত দেশ গুলুর মতো বাংলাদেশে ড্রপ শিপিং ব্যবসা করা সম্ভব। তবে যার জন্য প্রয়োজন ধর্য্য এবং আস্থার সাথে লেগে থাকা। আমাদের দেশে অনেকেই ড্রপ শিপিং ব্যবসা করতে এসে শেষ পর্যন্ত টিকে থাকতে পারে না। কারণ শুরুর দিকের লোকসান এবং কম্পেটিশন দেখেই অনেকেই হার মেনে নেয়।
তবে এই ব্যবসায়ে আস্থার সাথে লেগে থাকতে পারলে একসময় সফল হওয়া সম্ভব। একজন বাংলাদেশী হিসাবে আপনি ও খুব সহজে এই ব্যবসা করতে পারবেন তবে তার জন্য আপনাকে কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে।
আমরা আজকে সেই বিষয় গুলো নিয়েই আলোচনা করবো।
আপনার ব্যবসা নিবন্ধন করুন:
বর্তমান বাংলাদেশ আইনের অধীনে আপনাকে যে কোনও ব্যবসায় নিবন্ধন করতে হবে। নিবন্ধন ব্যতীত আপনি বাংলাদেশে কোনো প্রকার ব্যবসা বৈধ ভাবে করতে পারবেন না।
একটি চলতি অ্যাকাউন্ট খুলুন :
আপনি এখানে অর্থ উপার্জন করতে এসেছেন। সুতরাং, পরবর্তী পদক্ষেপটি হলো বাংলাদেশের যে কোনো ব্যাংকের সাথে একটি চলতি অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। রিজার্ভ ব্যাংকগুলির জন্য অ্যাকাউন্ট নম্বর দিতে হয় এ জন্য ব্যাংকগুলির নির্দিষ্ট নির্দেশিকা রয়েছে।
পণ্যের একটি তালিকা তৈরি করুন :
অফিসিয়াল এবং ব্যাংকের আনুষ্ঠানিকতা সমাপ্ত হওয়ার সাথে সাথে আপনি এখন বাংলাদেশে ব্যবসা শুরু করার জন্য পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত। এখন প্রথম পদক্ষেপটি চূড়ান্ত করুন এবং আপনি যে পণ্যগুলি ড্রপার হিসাবে বিক্রি করতে চান তার একটি তালিকা তৈরি করুন। এটি বেশ কঠিন হতে পারে। তাই অতি মনোযোগ সহকারে সময় নিয়ে এই ধাপটি শেষ করুন।
এই কোর্সটি করতে এখানে ক্লিক করুন
সেরা দামের জন্য সরবরাহকারীদের সাথে যোগাযোগ করুন :
Amazon সহ অনেকগুলি ওয়েবসাইট রয়েছে যারা আপনাকে উৎপাদক এর সাথে খুচরা বিক্রেতাদের যোগাযোগ করে দিবে। এই টপ ওয়েবসাইটে যোগাযোগের অনেক সুবিধা রয়েছে। তাদের এমন অনেক পণ্য রয়েছে যা বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত হয় না।
এই পণ্যগুলি জাহাজে বহন করাও সহজ। আপনি পণ্য দেশে এনে দেখলেন পণ্যটি দেশীয় আইনের ভেতর পড়ে না। তাই কিছু বিক্রি করার আগে আমদানি আইন ও শুল্ক যাচাই করা ভাল। এই টপ ওয়েবসাইটগুলি ভালো সরবরাহকারীদের তালিকা তৈরী করে থাকে । যা আপনি দেখতে পারবেন। সুতরাং, সরবরাহকারীরা আপনার পণ্যগুলি নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার বা নিম্নমানের পণ্য বিতরণের সম্ভাবনা কম।
আপনার বিক্রয় মূল্য নির্ধারণ করুন:
আপনি যে পণ্যটি বিক্রয় করছেন তার একটি বিক্রয় মূল্য নির্ধারণ করুন। পাশাপাশি আমাদের দেশে সেই পণ্যটির চাহিদা কেমন তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করুন।
তাহলে আপনি বুঝলেন যে বাংলাদেশে একটি ড্রপ শিপিং বিজনেস চালু করতে চাইলে আপনাকে কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। ড্রপ শিপিং নিজে আপনার কোনো প্রশ্ন থাকে তা আমাদের কমেন্ট করে জানান।
ধন্যবাদ